প্রথম দিনেই মেট্রোর লিড, ফজলে রাব্বি-গাজীর হাফ সেঞ্চুরি

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পারভেজ হোসেন ইমন, ইয়াসির আলী রাব্বি, সাদিকুর রহমানরা ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারলেন না কেউই। ঢাকা মেট্রোর আরিফ আহমেদ ও রাকিবুল হাসানের বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম দিন শেষে ১ রানের লিড নিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার পারভেজ ইমন ও সাদিকুর। তিনে নেমে সাদ্দাম হোসেনও সুবিধা করতে পারেননি। সাজ্জাদুল ইসলাম রিপন, ইয়াসির আলী, সাব্বির হোসেনরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

৯০ রানে ৭ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে দেড়শর কাছে নিয়ে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান। তরুণ এই ব্যাটার ৩৬ বলে খেলেছেন ৩৮ রানের ইনিংস। ইরফান হোসেনের ১৭ ও এনামুল হকের ১০ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ১৬০ রানের পুঁজি পায় তারা। ঢাকা মেট্রোর হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল ও আরিফ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান ও আল আমিন জুনিয়র।
চট্টগ্রামকে অল্পতেই আটকে দিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মেট্রো। ব্যাটিং নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন নাইম শেখ ও আনিসুল ইসলাম ইমন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭১ রান। নাইম ও আনিসুলকে হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে। নাইম ৪২ ও আনিসুল করেছেন ৪৫ রান। এরপর আইচ মোল্লাহর অপরাজিত ৩৫ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৬ রানের ইনিংসে ১ রানের লিড পেয়েছে ঢাকা মেট্রো।
ফজলে রাব্বি-গাজীর হাফ সেঞ্চুরি, বরিশালের ২৮৯
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্বক শুরুর আভাস দিলেও উদ্বোধনী জুটি বড় হয়নি আব্দুল মজিদ ও ইফতেখার হোসেন ইফতির। চারে নেমে দ্রুতই ফিরেছেন শামসুল ইসলাম। তবে তিনে নেমে দলকে পথ দেখাতে থাকেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ৬৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ফজলে মাহমুদের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন সালমান হোসেন ইমন। ৩৭ রান করা এই ব্যাটার ফিরলে ভাঙে জুটি। মইন খানও সঙ্গ দিয়েছেন দারুণভাবে।
যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে ৬৪ রানের ইনিংস খেলা ফজলে মাহমুদকে। বরিশালের রান তিনশর কাছে নিয়ে গেছেন সোহাগ গাজী। লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে নিজেও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। মইনুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, রুয়েল মিয়ারা ফিরে গেলে অন্য প্রান্তে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকতে হয় গাজীকে। ঢাকার হয়ে শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে এক ওভারে কোন রান তুলতে পারেননি রনি তালুকদার ও জিসান আলম।