ফারজানা-শারমিন-নিগারের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও আয়ারল্যান্ড নারী দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। পাঁচ উইকেটের এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। প্রথম জয়টির মতো এই ম্যাচটি জিতেও রেকর্ড গড়েছে বাঘিনীরা।
প্রথম ম্যাচে জয় আসে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান (২৫২) করে। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়টি এসেছে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৩.৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে বাংলাদেশ। এর আগে রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে। গত বছর ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে জিতেছিলেন বাঘিনীরা।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতে মুর্শিদা খাতুনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে ফারজানা হক পিঙ্কি এবং মুর্শিদা খাতুনের ৮৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সিরিজে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা।

৮৯ বলে ছয়টি চারে খেলেন ৫০ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। লরা ডেলানির ফুল টসে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই ওপেনার। পরের ওভারে থামেন শারমিন। ৬৩ বলে চারটি চারে তিনি করেন ৪৩ রান।
ইনিংস বড় করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারিও। ২১ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও অধিনায়ক জ্যোতি ও স্বর্ণা আক্তার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলে সেই চাপ দূর করেন।
নিগারের ৪০ রান করেন ৩৯ বলে। আরলিন কেলির বলে বোল্ড হন তিনি। দলকে জয়ের বন্দরে নেয়া স্বর্ণা ২৯ রান করেন ২৯ বলে। ২ উইকেট নেওয়া ডেলানি ছিলেন আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় উইকেটে ১৯৩ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। শুরুতেই হোঁচট খায় দলটি। দলীয় ৩৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। সারাহ ফোর্বেস ১৩ ও অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ২ রানে আউট হন।
নাহিদা আক্তারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন ফোর্বেস। লুইসকে ফেরান সুলতানা খাতুন। সফরকারীদের ম্যাচে ফেরান অ্যামি হান্টার ও ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট। তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। দলের ২০০ ছুঁই ছুঁই স্কোরে অবদান রাখেন এই দুজন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি করতে হান্টার খেলেন ৬৬ বল। যদিও রানআউটে ছন্দপতন হয় আইরিশ ব্যাটিংয়ের। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে স্বর্ণা আক্তারের বল কাভারের দিকে ঠেলে রান নিতে গিয়ে রাবেয়ার সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন প্রেন্ডারগাস্ট।
৩৭ রান করতে তিনি খেলেছিলেন ৭২ বল। সেই ওভারেই স্বর্ণার লেগ স্পিনে এলবিডব্লিউ হন হান্টার। তাঁর ব্যাট থেকে আসে আইরিশ ইনিংসের সর্বোচ্চ ৮৮ বলে ৬৮ রান। ইনিংসে ছিল আটটি চারের মার। পরে ডেলানির ৫০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস আইরিশদের ছয় উইকেটে ১৯৩ রানে পৌঁছে দেয়। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন সুলতানা।