বাংলাদেশ যখন ভারতে তখনই প্রস্তাব পেয়েছিলেন সিমন্স

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ জিতে বড় আশা নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতের সফরে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে উড়ে যাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তরা টেস্টে হেরেছে দুই দিনে। এমন পারফরম্যান্সের পর হাথুরুসিংহের চাকরি যাওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক নয়। ক্রিকেটে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য চাকরি যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও লঙ্কান কোচের ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন নাসুম আহমেদ চড় মেরেছিলেন, এমন অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। তৎকালীন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য সেসব উড়িয়ে দিয়েছিলেন। হাথুরুসিংহে নিজেও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। সেই ঘটনার জেরেই মাস দশেক পর প্রধান কোচের চাকরি হারিয়েছেন তিনি। তাকে প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে ফিল সিমন্সকে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অর্থাৎ বাংলাদেশ ভারত সফরে থাকতেই চাকরি পেয়েছেন সিমন্স। মুশফিকুর রহিমদের সঙ্গে কাজ করতে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশেও এসেছেন তিনি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন সেই কথাই। ক্যারিবীয় এই কোচ বলেন, ‘আজ শনিবার? তাহলে দেড় সপ্তাহ আগে প্রস্তাব পেয়েছি।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হওয়ার আগে দু’বার চেষ্টা করেছিলেন সিমন্স। ২০১৭ সালে হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কোচ। তবে সেই সময় স্টিভ রোডসকে বেছে নিয়েছিল বিসিবি। পরবর্তীতে রোডস চলে যাওয়ার পর আবারও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেবার বিসিবির পছন্দ ছিল রাসেল ডমিঙ্গো।
এবার অবশ্য হাথুরুসিংহের চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের কোচ হয়েছেন। আগের দু’বার চাকরি না পাওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলছেন সিমন্স। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে চাকরি পাইনি, কীভাবে বলব এখানে ভিন্নতা কতটুকু? দুর্ভাগ্যবশত তখন আমি চাকরিটা পাইনি।
নিজের কোচিং দর্শন নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমার দর্শন হলো কঠোর পরিশ্রম করো, ফলাফল আসবে। সবসময় পক্ষে না এলেও ফলাফল আসবে। গত কিছু দিন দেখেছি ওরা কঠোর পরিশ্রম করে খেলা, স্কিল, ফিটনেস নিয়ে। আমি খুশি।’