সাকিবের রানের চেয়ে নিবেদনকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন শান্ত

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চেন্নাই টেস্টের মাঝেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উঠেছিল বড় প্রশ্ন। সাকিব কী আঙুলের চোট নিয়ে খেলেছেন এই টেস্টে? ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। চেন্নাই টেস্টে সাকিবের অবদান কী এমন প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
সেই প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেছেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ্!’ এরপর মাঠের পারফরম্যান্স পাশ কাটিয়ে সাকিবের নিবেদনের কোনো কমতি ছিল না সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলের নেতা হিসেবে এটাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেন শান্ত। পুরোনো রূপে ফেরার জন্য সাকিবের চেষ্টার কমতি ছিল না সেটাও জানিয়েছেন শান্ত।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না।’
শুধু সাকিব বলেই যে নিবেদনকে বড় করে দেখছেন তেমনটা না বলে জানালেন শান্ত। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিকুর রহীম সবার ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখেন তিনি। বাংলাদেশ এখন টেস্টের জন্য পরিপূর্ণ দল হয়ে উঠছে। দলে আছেন একাধিক ক্রিকেটার। যারা শুধু এই ফরম্যাটকেই প্রতিনিধিত্ব করেন। তাদের নিয়ে খুশি শান্ত।
তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এমন নয় যে রান করছে বা রান করছে না। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়, তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি তার চিন্তাভাবনা কেমন, দলকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য ওই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি, দলে যে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’
এর আগে চোখের সমস্যার কারণে ব্যাটিংয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সাকিব। তখনও সাকিবের দলে থাকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। সব মিলিয়ে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে শান্ত বেশ খুশি। সবাই মিলে অবদান রাখতে পারলে ভিন্ন কিছু হতো বলেও ধারণা তার। যদিও সাকিব চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংসে বল করে কোনো উইকেটই পাননি। আর দুই ইনিংসে মিলিয়ে ৫৭ রান করেছেন মাত্র। এর ফলে আবারও তার পারফরম্যান্স নিয়ে উঠল বড় প্রশ্নই। শান্ত স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিলেন ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা। সেখানে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করেন না তিনি।
শান্ত বলেন, 'আঙুলের যে ব্যাপারটা, টেপ পেচানো ছিল। সবশেষ যখন ওইখানে বল লেগেছিল তখন থেকেই রক্ত বের হচ্ছিল। আমি কখনো কারও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ এটা পুরোপুরি দলীয় একটা খেলা। পুরো দলের অবদানেই কেবল একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমাদের সবার আরও বেশি অবদান রাখা উচিত ছিল। আমি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সগুলো নিয়ে চিন্তিত না।'