দলের সাথে ভারত সফরে যাবেন ইবাদত

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চোট কাটিয়ে ভারত সফর দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল ইবাদত হোসেনের। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডানহাতি এই পেসার ফিরতে পারবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে নিজের ফেরার মিশনের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে ভারত সফরে যাবেন ইবাদত। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং করার সময় আম্পায়ারের সঙ্গে লেগে হাঁটুর চোটে পড়েন ইবাদত। চোট গুরুতর হওয়ায় একই বছরের ৩০ আগষ্ট ইংল্যান্ডে করতে হয়েছে অস্ত্রোপচার। যার ফলে সেরা ছন্দে থেকেও এশিয়া কাপ এবং ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি ডানহাতি এই পেসার। এমনকি সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যাওয়া হয়নি তার।
১৩ মাস ধরে চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকা ইবাদত এখনও আছেন পুনবার্সন প্রক্রিয়ার মাঝে। পুরোদমে বোলিং না করলেও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এফোর্ট দিচ্ছেন তিনি। মূলত জাতীয় দলের ফিজিও এবং ট্রেনারের পরামর্শেই এমনটা করতে হচ্ছে তাকে। ইবাদতকে মাঠে ফেরাতে নিয়মিত কাজ করছেন স্থানীয় ট্রেনার, ফিজিওরা। এক বছরের বেশি সময় খেলতে না পারা নিয়ে আফসোস থাকলেও ফিরতে বেশ প্রত্যয়ী তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইবাদত বলেন, ‘অবশ্যই, আফসোস হয়। কারণ আজকে প্রায় ১৩ মাস আমি খেলতে পারছি না। এমন একটা ইনজুরিতে পড়েছি অনেক লম্বা সময় নিয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে বাহিরে থাকা সত্যি কথা এটা অনেক কষ্টের। মনে হয় না বেশিদিন লাগবে। ইনশাআল্লাহ আমিও খেলব, ভালো করার চেষ্টাও করব।’
সবশেষ জুনে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ফেরার কথা থাকলেও সেটা পিছিয়ে যায় সেপ্টেম্বরের ভারত সফর পর্যন্ত। তবে ইবাদতের স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে বোলিং সাপোর্ট, ডাক্তার, ফিজিও, পেস বোলিং কোচ, ট্রেনার সবাইকে পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ দলের পর্যবেক্ষণে থাকাকেও আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন টাইগার এই পেসার।
ইবাদত বলেন, ‘আমাকে ফিজিও এবং ট্রেনার, পেস বোলিং কোচ উনারা যে প্রোগ্রাম দিয়েছে ওই প্রোগ্রামই ফলো করতেছি। রেস্ট্রিক্টের ব্যাপারটা হলো শতভাগ এফোর্ট দিয়ে বোলিং করার অনুমতি তারা দেয়নি। এখন আমি ৭০-৮০ বা কাছাকাছি এফোর্টে বোলিং করছি। পরিকল্পনা যেটা আছে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে হয়ত আমাকে ভারতে নেবে।’
‘ওইখানে দেখা যাচ্ছে আমার যে বোলিং সাপোর্ট, ডাক্তার, ফিজিও, পেস বোলিং কোচ, ট্রেনার সবাইকে আমি পাবো। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের পর্যবেক্ষণে থাকব। এই জিনিসটার জন্য হয়ত আমাকে নিয়ে যাবে ভারতে। ওইখানে গিয়ে আমার ফিটনেসের ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করবে, কতটুকু ফিট আমি। যদিও এরকম (ফিট) মনে হয় তখন উনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ফিটনেসে পাশ মার্ক পেলে ভারতের সঙ্গে ম্যাচও খেলতে পারেন বলে ধারণা দিয়েছেন ইবাদত। তবে বর্তমানে প্রেক্ষাপটে নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের ভীড়ে সেটার সম্ভাবনা কম। ভারত সফর দিয়ে ফিরতে না পারলেও জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে মাঠে ফেরার আশা করছেন তিনি। ১৫ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াতে পারে এনসিএলের এবারের আসর। ফিটনেস ফিরে পাবার পরও ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াডে ডাক না পেলে এনসিএলে খেলতে চান ইবাদত।
বাংলাদেশের এই পেসার বলেন, ‘অবশ্যই, আমি তো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। যে জিনিসটা হচ্ছে আমার ফিটনেসটা পেতে হবে। ফিটনেসের জন্য আমার সাথে আমাদের স্থানীয় ট্রেনার, ফিজিও কাজ করতেছে। জাতীয় দলের ফিজিও, ম্যানেজমেন্ট যারা আছে উনারা তো আমাকে প্রোগ্রাম দিয়েছে। স্থানীয় ফিজিও, ট্রেনারের কাজ করতেছি আলহামদুলিল্লাহ। যদিও ভারতে যাওয়ার পরে দেখি ফিটনেস ওইভাবে পাই, ম্যানেজমেন্ট যদি যথেষ্ট খুশি থাকে আমাকে নিয়ে। যদি ওইখানে খেলায় তো খেললাম আর যদি না খেলতে পারি তাহলে বাংলাদেশে তো আমাদের ঘরোয়া ম্যাচগুলো আছে ওইগুলো খেলবো ইনশাআল্লাহ।’