হাসান-নাহিদদের টুপিখোলা অভিনন্দন জানালেন ডোনাল্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘ভারতের ‘বি’ দলকে হারাতেও পাকিস্তানের ঘাম ঝরবে’
১ ঘন্টা আগে
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানাদের এমন সাফল্যে গর্বিত তাদের সাবেক কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। বাংলাদেশের পেসারদের টুপিখোলা অভিবাদন জানিয়েছেন এই সাউথ আফ্রিকান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দলটিকে ১৭২ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। এই ইনিংসে হাসান একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। খরচা করেন মাত্র ৪৩ রান। হাসানের এমন সফলতার দিনে নাহিদ নিয়েছেন চার উইকেট।
দ্রুত গতির এই পেসার খরচা করেন ৪৪ রান। বাংলাদেশের পেসারদের দশ উইকেট পূরণে অবদান রাখেন তাসকিন আহমেদও। ৪০ রান খরচায় এক উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তাসকিন নেন তিন উইকেট। হাসান উইকেট না নিলেও নাহিদ নেন এক উইকেট। সার্বিকভাবে পেসারদের পারফরম্যান্সে রোমাঞ্চিত ডোনাল্ড।

'ডেইলি স্টার'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ বলেন, 'আমি এখনো নিয়মিত তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কথা বলি। কাল রাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমাদের ভালো সময় কেটেছে। এই গ্রুপের মধ্যে যেমন বিশ্বাস আছে যেটা আগে আমি কখনো দেখিনি।'
'প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাদের ছুটে যাওয়া দেখতে পারা ভীষণ সন্তুষ্টির বিশেষ করে পাকিস্তানের মতন শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। বল করার জন্য পাকিস্তান সবচেয়ে কঠিন জায়গা। রাওয়ালপিন্ডির মতন ভেন্যুতে, যেখানে কিনা ফ্ল্যাট উইকেট হয়। সেখানে পর পর দুই ম্যাচ খেলা। পুরো গ্রুপকে আমার টুপিখোলা অভিনন্দন।'
২০২২ সালের মার্চে নিয়োগ পেয়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হয়ে ডোনাল্ড যখন আসেন, তখন তার মূল চ্যালেঞ্জ ছিল দলের পেসারদের ভয় দূর করা। পেসারদের ভুল করার ভীতি থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন তিনি।
সফল এই কোচ আরও বলেন, 'আমার একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো ড্রেসিংরুম থেকে 'ফিয়ার ফ্যাক্টর' সরিয়ে দেয়া। 'ফিয়ার ফ্যাক্টর' বলতে আমি বুঝি ছেলেরা এখন ভুল করতে কম ভয় পায়। আমি সব সময় জানতাম প্রত্যেকটা ছেলে অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান, সহজাত প্রতিভা আছে তাদের, দুর্দান্ত কবজি আছে। আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো তাদের সঙ্গে মানসিকতা নিয়ে কাজ করা। তাদেরকে বোঝানো যে শক্ত মানসিকতা কি এবং কীভাবে ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়।
'পুরো গ্রুপকে প্রতিনিয়ত এই প্রক্রিয়া মনে করিয়ে দেওয়ার ব্যাপার ছিলো। আমার মনে হয় ধীরে ধীরে, বছর-খানেকের মধ্যেই আমরা ফল পেতে শুরু করলাম। আমি সব সময় তাদের সঙ্গে ছিলাম, ভুল নিয়ে চিন্তিত না হতে বলতাম, তাদের জন্য বড় ব্যাপার ছিলো আমাকে ভরসা করা। একবার যখন ফল মিলল তারা আমাকে ভরসা করতে শুরু করল। আমি ভুল নিয়ে কখনই কথা বলতাম না, সব সময় ইতিবাচকভাবে শক্তিবৃদ্ধি করতে চাইতাম। এখন তাদের ভালো করতে দেখা আমার জন্য দারুণ সন্তুষ্টির।'