‘মেন্টালি স্ট্রং’ না, সাকিবকে ‘সেরা অ্যাথলেট’ বলছেন ফাহিম

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গতকালই পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সাকিব আল হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে 'হত্যা মামলা' নিয়ে খেলতে নেমে সাকিবের এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন এই পরিচালক সাকিবকে বলছেন, ‘টপ অ্যাথলেট’।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংস অতটা ভালো করতে পারেননি সাকিব। একশ রান খরচায় মাত্র একটি উইকেট নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন তিনি। সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ চার উইকেট নিলে মাত্র ১৪৬ রানে গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তান।'
ফলে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রানের। সহজেই সেই লক্ষ্য টপকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চাপের মুহূর্তে সাকিবের এমন পারফরম্যান্স মনে ধরেছে ফাহিমের। তার মতে, বাইরের ঘটনায় চাপে থাকলেও দারুণ পারফরম্যান্স করার ক্ষমতা সাকিবকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

ফাহিম বলেন, 'মেন্টালি স্ট্রং বলব না। যেকোনো অ্যাথলেট হোক, যেকোনো দেশেরই হোক, তারা যখন পারফর্ম করতে নামে মাঠে, আমার মনে হয় না তারা নেগেটিভ প্যাকেজগুলো নিয়ে মাঠে নামে। তারা শুধু তাদের খেলার কথাই ভাবে। ওভাবেই তারা নিজেদের তৈরি করে। যেন অন্য কোন চিন্তা আদৌ না আসে। তার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, ওর অন্য কোনও চিন্তা থাকে না। ও শুধু ব্যাটারকে নিয়েই চিন্তা করে।'
'বল কোথায় করবে, কীভাবে করবে। অন্য কোনও সময় আসতে পারে চিন্তা, তবে বল করার সময় চিন্তা আসে না। এটাই ওকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। অন্যদের আমরা দেখেছি, বিভিন্ন ঘটনা, সমালোচনা তাদেরকে ন্যাচারাল খেলা খেলতে দেয় না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক না।'
সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে চেনা ছন্দে ছিলেন না সাকিব। বিশ্বজুড়ে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সাকিবের এমন পারফরম্যান্স তার হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে বলেই মনে করছেন ফাহিম।
তিনি বলেন, 'সাকিবের বোলিংয়ের মধ্যেই আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি যে সে যখন বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করে সে কমফোর্টেবলি সেটা করে না। কিন্তু কালকে সেটা দেখিনি কিন্তু। একটা প্রোপার টেস্ট বোলার যেভাবে বোলিং করে সে সেভাবেই বোলিং করে। বোলিং করার সময় সে নিজের উপর আস্থা নিয়েই বোলিং করে। ডানহাতি-বামহাতি সব ধরনের সিচুয়েশনে।'
'যখনই বল তাকে দেয়া হচ্ছে, উইকেট নেয়ার জন্য সে বোলিং করেছে। অন্যদের সাথেও আলাপ করছে, মিরাজকেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিচ্ছে। টোটাল ইনভলবমেন্ট ছিল। আমার মনে হয় সে নিজেও উপভোগ করেছে। বোলিং নিয়ে তার মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল। সেটা চলে গেছে। আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। এটা ওর পরবর্তীতে কাজে লাগবে।'