promotional_ad

ড্রয়ের পথে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট, এগিয়ে বাংলাদেশ

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা। ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন ১৯১ রান করে। আর মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ৭৭ রান। আর তাতেই লিড নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।


শেষদিকে শরিফুল ইসলাম ১৪ বলে ২২ রানের ইনিংস খেললে বাংলাদেশের সংগ্রহ সাড়ে পাঁচশ পেরিয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। আর দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলী।


নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। তারা শুরুতেই হারায় ওপেনার সাইম আইয়ুবের উইকেট। শরিফুল ইসলামের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।


এরপর পাকিস্তানকে আর কোনো বিপদ হতে দেননি পাকিস্তানের দুই ব্যাটার শান মাসুদ ও আব্দুল্লাহ শফিক। পাকিস্তান চতুর্থ দিন শেষ করেছে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান করে। শফিক ১২ ও মাসুদ ৯ রান করে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তান এখনও পিছিয়ে আছে ৯৪ রানে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। দুই দলের প্রায় দুটি ইনিংস বাকি। হাতে মাত্র একটি দিন।


এর আগে সাউদ সাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে নিজের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সাদমান ইসলাম করেন ৯৩ রান। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরি ৫ উইকেটে ৩১৬ রান তোলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের চেয়ে ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন সকালে লিডের আশায় ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন ও মুশফিক।


দিনের শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন তারা দুজনে। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ৯৮ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন ও মুশফিক। দুটি সিঙ্গেলস নিয়ে জুটির সেঞ্চুরি পূরণ করেন তারা। এদিকে দিনের ষষ্ঠ ওভারে ফিরতে পারতেন মুশফিক। মোহাম্মদ আলির লেংথ ডেলিভারিতে একটু পিছিয়ে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। 



promotional_ad

বল প্যাডে আঘাত করার পর আবেদন করতেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। তবে লিটনের সঙ্গে কথা বলে ২ সেকেন্ড বাকি থাকতে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল বেরিয়ে যেতো স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। যার ফলে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন কেটেলবরো। 


রিভিউ নিয়ে মুশফিক বাঁচলেও কয়েক ওভার পর লিটনকে হারাতে হয়েছে বাংলাদেশের। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে নাসিম শাহর ওপর চড়াও হয়েছিলেন লিটন। এদিন অব্শ্য বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটারকে সেই সুযোগ দেননি নাসিম। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে উঠা শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পয়েন্ট দিয়ে খেলার চেষ্টায় এজ হয়ে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের গ্লাভসে ক্যাচ দেন লিটন। ফেরার আগে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। 


লিটন ফিরে গেলেও উইকেটে আঁকড়ে ধরেছিলেন মুশফিক। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন মিরাজ। তাদের দুজনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন থেকে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা মুশফিক চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। আঘা সালমানের বল ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি।


এ ছাড়া হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর বেলিমের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। শুধু তাই নয় এদিন ১০ সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকেও ছাড়িয়ে গেছেন তারকা এই ব্যাটার। বর্তমানে টেস্টে ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মাঝে সবার উপরে আছেন মুশফিক। দিনের প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।


দ্বিতীয় সেশনেও স্নায়ুচাপ ধরে রেখে খেলেছেন মুশফিক ও মিরাজ। দুজনেই দেখেশুনে খেলে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন। মিরাজ ধীরে ধীরে এগিয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দিকে। খানিক বাদেই ২৮৬ বলে দেড়শ তুলে নেন মুশফিক। সালমান আঘার বলে লং অনে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে দেড়শতে পৌঁছান তিনি।


এরপর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজও। তিনি চা বিরতির আগে ১২৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩১৪ বলে ১৭৩ রান করে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনের পর বিরতিতে যায় ৬ উইকেটে ৪৯৫ রান নিয়ে। চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন মুশফিক। তবে পারলেন না ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।


এর মধ্যে দিয়ে মুশফিকের ৩৪১ বলের ম্যারাথন ইনিংসের শেষ হয়। মুশফিকের ইনিংস জুড়ে ছিল ২২ চার ও ১ ছয়ের মার। মিরাজের সঙ্গে তার ষষ্ঠ উইকেটে গড়া জুটি ভেঙেছে ১৯৬ রানে। মুশফিক ফিরে গেলেও এরপর বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন মিরাজ। এরপর বেশিক্ষণ মিরাজকে সঙ্গ দিতে পারেননি হাসান মাহমুদ। তিনি অফ স্টাম্পের বাইরে লাফিয়ে ওঠা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।



উইকেট নিয়েই নিজের সদ্যজাত সন্তানকে উদ্দেশ্য করে দুই হাত ঝুলিয়ে উদযাপন করেন আফ্রিদি। একপ্রান্ত ধরে খেলছিলেন মিরাজ। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে আফ্রিদির বলে স্লিপে আঘা সালমানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর ফলে শেষ হয় তার ১৭৯ বলে ৬টি চারে সাজানো এই ইনিংস। এরপর শরিফুল নাসিম শাহর শিকার হলে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায়।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-


পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস)- ৪৪৮/৬ (১১৩ ওভার) (রিজওয়ান ১৭১*, সাইম ৫৬, শাকিল ১৪১, সালমান ১৯, আফ্রিদি ২৯*; শরিফুল ২/৭৭, হাসান ২/৭০)


বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ৫৬৫/১০ (১৬৭.৫ ওভার) (সাদমান ৯৩, মুমিনুল ৫০, জাকির ১২, শান্ত ১৬, সাকিব ১৫, মুশফিকুর ১৯১, লিটন ৫৬, মিরাজ ৭৭)


পাকিস্তান (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৩/১ (১০ ওভার) (মাসুদ ৯*, শফিক ১২*; শরিফুল ১৩/১)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball