সাকিবদের রাজনীতি করা নিয়ে রাজনৈতিক দলেরও দায় দেখছেন লিপু

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসার ব্যাপারটি উপমহাদেশে যেন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। গতকালই সাকিব আল হাসান-মাশরাফি বিন মুর্তজাদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। এই ক্রিকেটারের পর এবার এই বিষয়ে মতামত দিয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যোগদানের পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায় দেখছেন তিনি।
সনাথ জয়াসুরিয়া থেকে শুরু করে ইমরান খান প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। বাংলাদেশেও রাজনীতিতে যোগ দেয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নেই। নাইমুর রহমান দুর্জয় থেকে শুরু করে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান মনে করেন রাজনীতিতে আসলে ক্রিকেটারদের অবশ্যই অবসরের পর আসা উচিত। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক লিপু মনে করেন, দেশের হয়ে খেলা কোনও ক্রিকেটারকে রাজনৈতিক দলে নেয়াও উচিত নয়।

লিপু বলেন, 'রাজনীতির পাশাপাশি কেউ জাতীয় দলে থাকতে পারবে কিনা এটা নিয়ে কাল সোহান বলেছে... সোহান কাল যা বলেছে এটার সঙ্গে আমি একটা বার্তা যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গাতেই হতে হবে। খেলোয়াড়ের জন্যে যেমন.. জাতীয় দলকে সেবা করার সময় তিনি যোগদান করতে পারবেন কি পারবেন না রাজনৈতিক দলে।'
'পাশাপাশি যে রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার নিয়ে কথা চলছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার.. সেখানে একটা রাজনৈতিক দলেরও কী উচিত কোনও জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে তার রাজনৈতিক দলে নেয়া? তারা তো জনগণের জন্যই কাজ করে, দেশের জন্যেই ভাবে। এটা ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক না। আপনি শুধু একজন খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারেন না। এখানে রাজনৈতিক দলকেও দায়ভার নিতে হবে। ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমি আমার চিন্তাভাবনা একটু শেয়ার করলাম।'
প্রধান নির্বাচকের মতে, কোনও ক্রিকেটারের ওপর যথেষ্ট বিনিয়োগ করা হয়। এতো বিনিয়োগের পর যদি সেই ক্রিকেটার রাজনীতিতে নাম লেখান তাহলে দেশেরই ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে উপযুক্ত কোনও দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করেন তিনি।
লিপু আরও বলেন, 'যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে প্রায়রিটি দেবেন। একটা স্পেসিফিক দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে হয় ভালো। তাহলে কোন খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন তার প্রায়রিটি কোথায়। এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। ইফ ইউ আর ন্যাশনাল অ্যাসেট, আপনাকে সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ইনভেস্টমেন্ট থাকে। তারপর খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে যখন আরও অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, তখন আপনি যদি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেন…হ্যাঁ আপনি যদি আগে থেকেই বিল্ড আপ করে থাকেন, সেটা ভিন্ন কথা।'
'কিন্তু আপনি যদি আপনার বর্তমান অবস্থানের কারণে শিফট হয়ে যান, সেটা হলে দেশই বঞ্চিত হয়। রাজনৈতিক দলের একটা খেলোয়াড় তাঁর যখন জায়গায় ভালো করছে, তাঁকে আপনি নিবেন কি না…আর খেলোয়াড়কেও তার প্রায়রিটির সুযোগ আছে। মানুষ ভুল করে। তার শুধরানোর সুযোগও আছে। সাকিব যদি তার পথচলায় কোন ভুল করে থাকেন, তার নিজেরই বোঝার সুযোগ হবে, নিজেকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসবেন।'