|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৭ রানের বড় জয় পেয়েছে বিসিবি এইচপি দল। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৭০ রান করে বিসিবি এইচপি। জবাবে বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয় মেলবোর্ন।

এ দিন তিন নম্বরে নেমে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করেন পারভেজ হোসেন ইমন। বিসিবি এইচপি মূলত এ কারণেই পায় চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। এরপর মেলবোর্নকে চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। ডারউইনে টপ এন্ড সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে একশোর ভেতর আটকে দেন তারা।

এ দিন ৪৮ বলে সাতটি চার, দুটি ছক্কায় ৬৯ রান করেন বাঁহাতি ইমন। বোলিংয়ে এইচপির সেরা বোলার রিপন মন্ডল। মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি নেন তিনটি উইকেট। ২১ রানে ৩৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসান তামিম ও পঞ্চম ওভারে জিসান আলমকে হারায় বাংলাদেশের দল। ৯ বলে ১৭ করে থামেন তানজিদ। ১০ বলে ১০ করে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে বিদায় নেন জিসান।

চারে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুব নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ হন। প্রথম বলেই বিদায় নেন তিনি। আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে তারপর দলকে টানেন ইমন। ৪৭ রানের জুটি গড়েন দুজন।

থিতু হয়েও ফিরে যেতে হয় আকবরকে। এরপর শামীম পাটোয়ারির সঙ্গে ৫০ রানের আরেক জুটিতে দলকে শক্ত অবস্থায় নিয়ে যান ইমন। তিনি ফেরার পর আবু হায়দার রনি ৮ বলে ১৩ রান করে দলকে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান।

বোলিংয়ে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর চেপে বসে বাংলাদেশ। সতর্ক শুরু করলেও একে একে উইকেট হারায় দলটি। দলতির হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন জশুয়া ব্রাউন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন মার্কাস হ্যারিস।

১৬ রান করা হ্যারি ডিক্সনকে বোল্ড করে প্রথম উইকেট নেন আবু হায়দার। এরপর তিনি ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ হানা দেন মিডল অর্ডারে। দিশেহারা স্বাগতিক দলকে এরপর ধসিয়ে দেন রিপন।