‘পিএসএলের চেয়ে বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড় বেশি খেলে’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আকাশ চোপড়ার কাছে বাংলাদেশের স্কোর কার্ড যেন একটি টেলিফোন নম্বর
২ ঘন্টা আগে
গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল পাকিস্তান দলের। এরপরই দেশটির ক্রিকেট দলকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। এই সমালোচনায় মজেছেন রশিদ লতিফও। পাকিস্তানের ক্রিকেটের অবকাঠামো নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। এ কারণে টেনে এনেছেন আইপিএল এবং বিপিএল-পিএসএল প্রসঙ্গও।
রশিদের মতে, পাকিস্তানে ক্রিকেট এখনও 'শখের' পর্যায়ে আছে! অপরদিকে ভারত ক্রিকেটকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। এর ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন রশিদ। পিএসএলের আগে বিপিএলকে জায়গা দিচ্ছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ভারত তাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন করেছে। আমরা ক্রিকেটকে এখনো শখ হিসেবেই দেখছি। এ কারণেই আমরা এটাকে ব্যবসায় রূপ দিতে পারছি না। এমনকি আইপিএলও একটা ব্যাপার হয়ে এসেছে। তাদের এখন সব সেরা লোকগুলো আছে। ডিসির (দিল্লি ক্যাপিটালস) পন্টিং, হাসি ও ব্রাভো আছে। কিন্তু আমরা কী করছি?’
পিএসএলে সাইফ-তানজিদদের যে দলই নেবে তারাই লাভবান হবে: বাসিত
১৫ মিনিট আগে
‘যে লোকগুলোর মাথা থেকে পিএসএলের ধারণাটা এসেছিল, এক বছরের মধ্যে তাদের ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এটা বড় করার একটা লক্ষ্য ছিল তাদের, কিন্তু এটা হলো না। পিএসএলের চেয়ে বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড় বেশি খেলে। শুধু টাকা বেশি আছে বলেই মঈন আলী, ডেভিড মিলাররা সেখানে খেলে। আমরাই শুধু এগোতে পারি না।’
বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমাবদ্ধতা নজরে এনেছেন রশিদ। সাবেক এই ক্রিকেটারের মতে, বিদেশি কোচদের কাছ থেকে গত এক দশক অনেক কিছুই শিখেছে ভারতীয়রা। যেটা একেবারেই পারেনি পাকিস্তান। এসব কারণে দেশটির ক্রিকেটারদের মানও বাড়েনি, বাড়েনি অর্থের পরিমাণও।
রশিদ আরও বলেন, ‘পিএসএল যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, এখনো সেখানেই পড়ে আছে। সর্বোচ্চ বেতন সীমা ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। তারা এটাকে কেন আর বাড়াতে পারছে না? আমরা কেন মিচেল স্টার্ক বা প্যাট কামিন্সের মতো খেলোয়াড় পাই না? কারণ, আমাদের অর্থ নেই, তাই ব্যবসাও নেই।’
‘এমন নয় যে ভারত বিশ্ব ক্রিকেটে পরাশক্তি হয়েছে এই বিশ্বকাপের পর বা সাম্প্রতিক সময়ে। ২০০৭, ২০১১, ২০১৫ সালের দিকে তাকান। তারা বিদেশি কোচদের কাছ থেকে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে। একই সময়ে তারা তৃণমূলেও কাজ করছে।’