promotional_ad

পার্থিব প্যাটেলের চোখে, মুস্তাফিজ এখন স্মার্ট বোলার

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ভারতের বিপক্ষে মুস্ত???ফিজুর রহমানের জাদুকরী বোলিং দেখার পর অ্যালান উইলকিনস বলেছিলেন, ‘এই ছেলে তো দেখি কৌশলের প্যান্ডোরার বাক্স নিয়ে হাজির!’ স্লোয়ার, কাটার এবং সুইংয়ে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। ভারত, পাকিস্তান ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চোখ জুড়ানো বোলিংয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন বিশ্ব জুড়ে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর বছরেই সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে।


সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখার পাশাপাশি প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে জিতেছিলেন সেরা ‍উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার। তবে মাঝে কাঁধের চোট ও অস্ত্রোপচারের পর হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের সেরা ছন্দ। সবশেষ কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে না পারা মুস্তাফিজ ছন্দে পেয়েছেন আইপিএল থেকে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে নিজের চিরচেনা বোলিং করেছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে।


আইপিএল থেকে ফেরার পর জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১০ রানে ৬ উইকেট। সেই ফর্ম ধরে রেখেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। সবশেষ তিন ম্যাচেই মিতব্যয়ী বোলিং করা মুস্তাফিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পার্থিব প্যাটেল। ভারতের সাবেক ব্যাটারের মতে, মুস্তাফিজ আগের থেকে এখন আরও বেশি স্মার্ট হয়ে গেছেন।



promotional_ad

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয়া বাঁহাতি এই পেসারের বোলিংয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে পার্থিব প্যাটেল বলেন, ‘সে দারুণ বোলিং করেছে, আপনি তার বোলিংয়ে অনেক উন্নতির ছাপ দেখতে পারবেন। আমার মনে হয় সে যখন ২০১৬-১৭ সালে খেলেছে তখন তার দ্রুতগতির ডেলিভারিগুলো ছিল ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ এবং সে যখন স্লোয়ার মারতো সেগুলো ১১০ কিংবা ১১৫ হতো, গতির দিক থেকে অনেক পার্থক্য।’


‘পরের তিন বছরে তার দ্রুতগতির ডেলিভারিগুলো ঘণ্টায় ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার এবং স্লোয়ার সবসময় ১১৫-১২০ ছিল। এজন্য গতির বৈচিত্র্য দিয়ে খুব বেশি ব্যাটারদের বোকা বানাতে পারতেন না। এখন তার অভিজ্ঞতা এবং চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা, ক্রিজকে ভালোভাবে ব্যবহার করা, অ্যাঙ্গেলটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছে, সেই সঙ্গে সে পিচও বুঝতে শিখে গেছে। সে স্মার্ট বোলার হয়ে গেছে।’


মুস্তাফিজ কিভাবে স্মার্ট হয়েছেন সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পার্থিব প্যাটেল। বিশ্বকাপের সবশেষ তিন ম্যাচে স্লোয়ার ও অফ কাটার দিয়ে ব্যাটারদের বোকা বানিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। নিউ ইয়র্কে হওয়া সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের উদাহরণ টেনেছেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। যেখানে হারিস রউফ, আর্শদীপ সিং ও বাকি বোলাররা ইয়র্কার করলেও এমন কিছুর চেষ্টা করেননি মুস্তাফিজ। এমন কিছু মুগ্ধ করেছে প্যাটেলকে।


তিনি বলেন, ‘সেটার বড় উদাহরণ হচ্ছে সে যেভাবে নিউ ইয়র্কে বোলিং করেছে। সে একমাত্র বোলার যে কিনা ইয়র্কার মারার চেষ্টা করেনি। আমরা হারিস রউফ, আর্শদীপসহ আরও অনেক বোলারকে ইয়র্কার মারার চেষ্টা করতে দেখেছি। কিন্তু সে ইয়র্কার করেনি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮তম ওভারে সে খুব সম্ভবত ১ রান দিয়েছিল।’



‘চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা এবং নিজের লিমিটেশন সম্পর্কে বুঝতে পারাটা ‍গুরুত্বপূর্ণ। সে জানে তার ফিটনেস কখনই তাকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে এলাউ করবে না। যে কারণে সে আবারও তার সেরা পারফরম্যান্সে ফিরতে পেরেছে।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball