রিশাদ-মুস্তাফিজ নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নিয়েছে: সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা ভালো ছিল না সাকিব আল হাসানের। শ্রীলঙ্কা ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮ ও ৩ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে শর্ট বলে সাকিবকে ভুগতে দেখা গেছে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাথিশা পাথিরানার অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট বলে সাকিব আউট হয়েছিলেন থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে। পরের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেও একইভাবে আউট হয়েছেন তিনি। এনরিখ নরকিয়ার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ফিরে যান সাকিব।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এই ম্যাচের আগে অনুশীলনে লম্বা সময় শর্ট বলে অনুশীলন করতে দেখা গেছে তাকে। সেই পরিশ্রমের ফল হাতেনাতে পেয়েছেন সাকিব। বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলতে হলে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যাটারের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেই আশা পূরণ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে সাকিবের এই হাফ সেঞ্চুরিটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শততম।

যদিও এদিন ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। তবে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে উঠেছে তার। ম্যাচ শেষে সাকিব জানিয়েছেন এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে উপরের সারির ৪ ব্যাটারের মধ্যে একজনকে ভালো করতেই হতো। তিনি নিজে এমন ইনিংস খেলতে পেরে ভালো লাগছে তার।
সাকিব বলেছেন, 'এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল উপরের সারির ৪ ব্যাটারের মধ্যে কাউকে পুরো ইনিংস ধরে খেলতে হতো। ভালো লাগছে আমি ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পেরেছি। শুরুর দিকে ইনিংস এতটা সহজ ছিল না। আমাদের স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে হয়েছে এবং ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হয়েছে। আমি বলব না এটা জেতার মতো সংগ্রহ ছিল। কিন্তু এটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ ছিল।'
সাকিব ম্যাচসেরা হলেও এই ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনকে দিয়েছেন। মুস্তাফিজ শেষ দুই ওভারে মাত্র খরচা করেছেন ৪ রান। এর মধ্যে ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান খরচা করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই বাঁহাতি পেসার। আর রিশাদ হোসেন ১৬তম ওভারে জোড়া উইকেটের পর ইনিংসে ১৮তম ওভারে আরও একটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের নাগালে এনে দেন ম্যাচ। তাই তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাকিব।
সাকিব বলেন, 'বোলাররা নিখুঁতভাবে নিজেদের কাজটা করেছে, বিশেষভাবে ফিজ ও রিশাদ। এই দুজনই নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে। শেষ ৪-৫ বছরে এখানে খুব বেশি খেলা হয়নি। আমরা জানতাম না এখানে কেমন সংগ্রহকে ভালো সংগ্রহ বলা যাবে। এ কারণেই আমরা উইকেট হাতে রেখে খেলেছি এবং ১৪-১৫ ওভারের সময় আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি যত বেশি সম্ভব যাওয়া যেতে পারে। বিশ্বকাপে ১৬০ রান চ্যালেঞ্জিং এবং ঐটা প্রমাণ হয়েছে।'