সাউথ আফ্রিকাকে হারাতে নতুন বল গুরুত্বপূর্ণ হবে, বললেন তামিম

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অসম বাউন্স থাকায় একই লেংথের ডেলিভারি কখনও বুক বরাবর আসছে আবার কখনও নিচু হয়ে হাঁটু বরাবর। নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এমন উইকেট নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। এখন পর্যন্ত হওয়া বেশিরভাগ ম্যাচেই বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। অ্যানরিখ নরকিয়া, জসপ্রিত বুমরাহ কিংবা আর্শদীপ সিংদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ভয়ে হাঁসফাঁস করছেন ব্যাটাররা।
সেই ভেন্যুতেই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। নিউ ইয়র্কের উইকেট সময় যত যায় ততই ধীরগতির হতে দেখা যায়। এমন অবস্থায় নতুন বলে প্রতিপক্ষের কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিক্স ও এইডেন মার্করামদের চেপে ধরতে বলছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়কের মতে, বাংলাদেশকে জিততে চাইলে নতুন বল কাজে লাগাতে হবে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে ম্যাচ পূর্ববর্তী আলোচনায় তামিম বলেন, ‘অবশ্যই, আমার মনে হয় নতুন বলে বোলিংটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে তাসকিনের ৪ ওভার এবং মুস্তাফিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা (সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার) হয়ত রান করেনি কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে তারা খুবই বিপদজনক ব্যাটার।’
‘আপনি তাদেরকে সুযোগ দিতে পারবেন না কারণ ডি কক যদি একটু সুযোগ পায় তাহলে সে আপনাকে ভোগাবে। তাসকিন ভালো বোলিং করছে। সব মিলিয়ে নতুন বলে বাংলাদেশ ভালো বোলিং করছে। অবশ্যই উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে। আমরা যে খেলাগুলো দেখেছি তাতে অসম বাউন্স আছে। বাংলাদেশ যদি জিততে চায় তাহলে নতুন বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের পেস ইউনিট থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুস্তাফিজ। জাতীয় দলের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) নিজের ছাপ রেখেছেন বাঁহাতি এই পেসার। স্লোয়ার, কাটারের মতো বাড়তি বৈচিত্র্য থাকায় মুস্তাফিজকে খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় ব্যাটারদের। এদিকে টেস্টের মতো একই লাইন লেংথ ধরে বোলিং করতে পারায় পেস ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তাসকিন। তাদের দুজনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মরনে মরকেল।
একই অনুষ্ঠানে সাউথ আফ্রিকার এই পেসার বলেন, ‘তাসকিন এমন একজন যে কিনা গতিময় বোলিং করতে পারে। টেস্ট ম্যাচের মতো লেংথ ধরে সে সঠিক জায়গায় বোলিং করে। এই উইকেটে সে সহায়তা পাবে। আর ফিজ তো বিশ্বমানের একজন। তার বোলিংয়ে সব ধরনের স্কিল ও বৈচিত্র্য আছে। আমি নিশ্চিত সাউথ আফ্রিকার ব্যাটাররা তার বিপক্ষে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না।
‘সে খুবই অ্যাকুরেট এবং তাকে খেলা খানিকটা কঠিন। এই ধরনের উইকেটে যাদের ন্যাচারাল বৈচিত্র্য আছে তারা যদি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে দারুণ কিছু হবে। বাংলাদেশের এখনও দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়নি। তারা হয়ত সাউথ আফ্রিকাকে চাপে রাখতে চাইবে। বাংলাদেশের দিক থেকে যদি বলি তাহলে সফট বাউন্ডারি, স্কোরিং অপশন কিংবা টপ অর্ডারকে উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ দেয়া যাবে না।’