শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ফিরবেন তাসকিন, শরিফুলকে নিয়ে অপেক্ষা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাসকিন আহমেদের হঠাৎ চোট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। অবশ্য বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তাকে পাওয়া যাবে সেই আশায় বাংলাদেশ দলে রাখা হয়েছিল এই পেসারকে। এমনকি বিশ্বকাপ দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও দেয়া হয় তাকে।
আগামী ৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি তাসকিন। মূল আসরের আগে তাসকিনকে নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও বায়েজিদ আহমেদ।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। আজ আউটডোরে বোলিং করার পরিকল্পনা ছিল যেহেতু বোলিং করার পরিকল্পনা করেছে, তাঁকে এ কারণে ইনডোরে আসা। ৫ জুন তাঁর পুরোপুরি বোলিং শুরুর কথা। সেটা দেখে বলা যাবে ৭ জুনের ম্যাচে ওকে পাব কি না। এখন পর্যন্ত তার খুব ভালো অগ্রগতি।’
তাসকিনকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন বিসিবির এই ফিজিও। এই পেসারের শারীরিক অবস্থা ভালো দেখেই তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়েছে। এই ধরনের চোট সেরে উঠতে ৪ সপ্তাহের মতো সময় লাগে। ৭ জুনের মধ্যে তাসকিন শতভাগ ফিট হয়ে যাবেন বলেই আশাবাদী বায়েজিদ।
তিনি আরও বলেন, ‘তাসকিনের সম্ভাবনা খুব ভালো। এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে। এ ধরনের চোট চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। এ ধরনের চোটের পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করি, ৭ জুনের মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে।’
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। তার প্রথম ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নেই। সেটা জানা গেছে আগেই। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে। শরিফুলের অবস্থা জানতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে বলে জানালেন বায়েজিদ।
বিসিবির এই ফিজিওর ভাষ্য, ‘এ ধরনের সেলাইয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায়। বাকিটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। আরও তিন-চার দিন পর ওর ব্যাপারটা বোঝা যাবে। কারও কারও খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। তবে প্রথম ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।’