কাউকেই সহ-অধিনায়ক হতে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, জানাল পিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা যেন শেষই হচ্ছে না। বিশ্বকাপের পর থেকেই পাকিস্তানের অধিনায়ককে নিয়ে একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দুই চরিত্র বাবর আজম ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
শরিবার পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায় বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল আফ্রিদিকে। তবে তিনি সেই প্রস্তবা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য এরপর এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই সংবাদ উড়িয়ে দিয়েছে।

তারা জানিয়েছে আফ্রিদি নয় কাউকেই সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি পিসিবি। জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল সহ-অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানও।
ফর্মের কারণে সেই আলোচনা থেকে দূরে সরে যান শাদাব। আর তরুণ কাউকে নেতৃত্বের আশে পাশে রাখতে চাওয়ার কারণে রিজওয়ানের নাম খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। পিসিবি নিশ্চিত করেছে আলোচনা হলেও কাউকে সরাসরি প্রস্তাব দেননি তারা।
পিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্বাচকদের আলোচনার সময় সহ-অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। তবে কাউকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে সবাই একমত ছিলেন। কাউকে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’
অনেকের ধারণা নেতৃত্ব কেড়ে নেয়ার ফলে আফ্রিদির সঙ্গে বাবরের সম্পর্কের অবনতি নিয়েছে। এমনকি দলের মধ্যেও কোন্দল তৈরি হয়েছে। অবশ্য পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাকিস্তান দল এখন ঐক্যবদ্ধ এবং বিশ্বকাপে পারফর্ম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দল পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাজ্যে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’