পয়েন্ট বাড়লেও বার্ষিক হালনাগাদে টেস্টে সবার ‘শেষে’ বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গত বছর আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এক বছরে তিন টেস্ট জয়ে বার্ষিক হালনাগাদে বাংলাদেশের রেটিং বেড়েছে মাত্র ২ পয়েন্ট। রেটিং বাড়লেও র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অর্থাৎ নবম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
১২ দলের টেস্ট খেলার স্বীকৃতি থাকলেও নয়ে থেকেও সবার নিচে টাইগাররা। নিয়ম অনুযায়ী র্যাঙ্কিংয়ে যুক্ত হতে হলে ৩ বছরের মাঝে ৮ টেস্ট খেলতে হয় দলগুলোকে। যেখানে সবশেষ তিন বছরে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছে জিম্বাবুয়ে। বাকি দুই দেশ আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান পর্যাপ্ত টেস্ট না খেলায় র্যাঙ্কিংয়ে রাখা হয়নি। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের কোন পরিবর্তন আসেনি।

৮৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আটে রয়েছে বাংলাদেশ। নয় নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান ৭। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও নয়ে রয়েছে শান্তরা। যেখানে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ২৩১। বাংলাদেশের ঠিক উপরে থাকা শ্রীলঙ্কার রেটিং পয়েন্ট ২৩২। যার ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে পারলে লঙ্কানদের ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের হাতে।
এদিকে ভারতকে হটিয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারানোর পরই শীর্ষে উঠেছিল প্যাট কামিন্সের দল। এবারের বার্ষিক হালনাগাদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ২০২০-২১ মৌসুমের ম্যাচের ফলাফল। মূলত এই কারণেই অজিদের কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছে রোহিত শর্মার ভারত। বার্ষিক হালনাগাদ করতে ২০২১ সালের মে মাসের পর থেকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
যার ফলে ২০২০-২১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাওয়া ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের ফলাফল যুক্ত হয়নি এবারের র্যাঙ্কিংয়ে। যার ফলে ১২৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অস্ট্রেলিয়া। দুইয়ে থাকা ভারতের রেটিং ১২০। বাকি জায়গাগুলোতে আর কোন পরিবর্তন আসেনি। তিনে ইংল্যান্ড, চারে সাউথ আফ্রিকা এবং পাঁচে রয়েছে পাকিস্তান। এরপর যথাক্রমে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ।
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির শীর্ষস্থানে অবশ্য কোন পরিবর্তন আসেনি। দুই জায়গাতেই সবার উপরে রয়েছে রোহিতের ভারত। বার্ষিক হালনাগাদে ওয়ানডের সেরা দশে কোন পরিবর্তন না এলেও জিম্বাবুয়েকে পেছনে ফেলে ১১ নম্বরে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও পিছিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। যেখানে তাদের হটিয়ে ১২নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে স্কটল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টির বার্ষিক হালনাগাদে অবশ্য বেশ কয়েকটি জায়গাতে পরিবর্তন এসেছে। ২৫৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া উঠে এসেছে দুইয়ে। এক ধাপ পেছানো ইংল্যান্ড নেমে গেছে তিনে। দুই ধাপ এগিয়ে চারে উঠে এসেছে সাউথ আফ্রিকা। তাদের মতো দুই ধাপ পিছিয়ে গেছে পাকিস্তানও। ২৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাবর আজমের দলের অবস্থান সাতে। এক ধাপ এগোনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান ছয়ে।