মানসিক অবসাদের কারণে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ল্যানিং
.webp)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মাত্র ৩১ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মেগ ল্যানিং। অবশ্য কী কারণে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সে কথা এতদিন সামনে আনেননি অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক অধিনায়ক। এবার সেই কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
জানিয়েছেন মানসিক অবসাদের কারণেই অল্প বয়সে ক্রিকেট ছেড়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচবার বিশ্বকাপ জেতানো এই অধিনায়ক জানিয়েছেন খাবার ও শরীরচর্চার ব্যাপারে অস্বাস্থ্যকর এক অভ্যাস গড়ে উঠেছিল তার। এ কারনেই তার হুট করে অবসর নিতে হয়েছিল।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করে ল্যানিং বলেন, ‘আমি অতিরিক্ত শরীর চর্চা করেছি, সেভাবে খাইনি। এটাই ধীরে ধীরে বেড়েছে। তবে আমি মানতে চাইনি, যদিও সবাই আমাকে বলছিল কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। আমি সফর করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। (২০২৩ সালে) অ্যাশেজ সিরিজে যে মানের নিবেদন দরকার ছিল, মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে সেটি দেওয়ার মতো এবং ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় ছিলাম না।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল এই অধিনায়ক। খেলে চলেছে বিগ ব্যাশ ও উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও। ল্যানিং জানালেন এই অবসাদের কারণে অল্পতেই মেজাজ হারাতেন তিনি। বন্ধু বান্ধবের সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। এ কারণে অস্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হচ্ছিল তাকে।
ল্যানিং যোগ করেন, ‘নিজে নিজে সময় কাটাতে সমস্যা হয় না এমনিতে। কিন্তু খুব অল্পসংখ্যক মানুষ আছে, যাদের সঙ্গে মিশতে চাই। (তবে) কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলেই আমি মেজাজ হারাতাম। বন্ধু ও পরিবার থেকে তাই অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিলাম। এমন কিছু যে করছি, সেটি বুঝতেই পারিনি। ব্যাপারটি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল।’
বর্তমানে অবশ্য বেশ ভালো আছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার। এখন নিজের ব্যবহার নিয়েও সন্তুষ্ট তিনি। নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদতে মানুষের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় এবং যারা সহায়তা করতে পারে, তাদের জানাতে হয়—সেটি বুঝতে শিখেছি।’