|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

ম্যাচ পাতানোর আলামত পেলে কড়া শাস্তি দেবে বিসিবি

২০ ঘন্টা আগে

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নাইম শেখ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফ সেঞ্চুরি, খালেদ আহমেদের দারুণ বোলিং এবং আফিফ হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে সাত উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

সাভারের বিকেএসপি'র তিন নম্বর মাঠে ১৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সপ্তম ওভারেই সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় আবাহনী। ১১ বলে ১৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান আরাফাত সানি। ডিপ মিড উইকেটে সাব্বিরের ক্যাচটি ধরেন এনামুল হক।

দলীয় ৫৯ রানে বিদায় নেন লিটন দাসও। শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে বাদ পড়া এই ক্রিকেটার ব্যর্থ হন প্রিমিয়ার লিগেও। ১৯ বলে পাঁচ রান করে আরাফাতের বলে বোল্ড হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে নাইম শেখের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আবাহনী।

আরো পড়ুন

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জিসানের ব্যাটে আবাহনীর জয়

১৭ এপ্রিল ২৫

দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরিও করে ফেলেন নাইম। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর আর টিকতে পারেনি তিনি। ৮৭ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৬ রান করেন নাইম। তারপর মাহমুদুল হাসান জয় এবং আফিফ হোসেনের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী। জয় ৫১ এবং আফিফ ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। মাত্র ৪৭ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় দলটি। শুরুর পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকেই ফেরান খালেদ আহমেদ। তারপর দলটির হয়ে লড়াই চালিয়ে যান আকবর আলী এবং মেহরব হাসান।

এই দুজনে মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। তুলনামূলক আগ্রাসী খেলতে থাকা আকবর আলীকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন। হাফ সেঞ্চুরির পরই ফিরে যান শাইনপুকুরের অধিনায়ক। তার ব্যাটে আসে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৫ রান।

আকবর ফেরার পর আবারও ভেঙে পড়ে শাইনপুকুরের লাইনআপ। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৬৯ রান করতে পারে তারা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কেবল মেহরব হাসান। ৭৯ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আবাহনীর হয়ে খালেদ ছাড়াও তিনটি উইকেট নেন আফিফ।