'সৌম্য ভাইয়ের ইনিংসটা আরেকটু বড় হলে ম্যাচ অন্যরকম হতো'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ফিরেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করে সব নজর কেড়ে নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। এই ম্যাচে একপ্রান্ত আগলে রেখে ১০২ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার।
যদিও বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। লিটন দাস শূন্য রানে ফিরে গেলেও ৬৬ বলে ৬৮ রান করে আউট হয়েছেন সৌম্য। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি আর হৃদয়ের সঙ্গে সৌম্যের ৫৫ রানের জুটি বাংলাদেশের ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

হৃদয় মনে করেন সৌম্যর ইনিংসটি আরেকটু বড় হলে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেত। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ১৮৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ কেড়ে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের কাছ থেকে। এটাকেও ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ মনে করেন হৃদয়।
তিনি বলেন, 'আমার কাছে মনে হয়, ওরা অনেক ভালো জুটি গড়েছে। কৃতিত্ব ওদেরও দিতে হবে। যারা আমরা সেট হয়েছি যদি ইনিংসটা আরও ক্যারি করতে পারতাম। উপর থেকে যদি সৌম্য ভাই বা আমি যদি আরও বড় করতে পারতাম। আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলছিলাম যে আজকে খেলতে হবে। সৌম্য ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরও বড় হত বা শান্ত ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরও বড় হত তাহলে খেলার দৃশ্যটা হয়ত ভিন্ন হত।'
হৃদয় লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে এই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। সপ্তম উইকেটে তানজিম সাকিবকে নিয়ে ৪৭ ও অষ্টম উইকেটে তাসকিনকে নিয়ে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন হৃদয়। তার বিশ্বাস ছিল শেষের ব্যাটারদের নিয়েও বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে পারবেন। সেটাই করতে পেরেছেন।
হৃদয় বলেন, 'আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন আমার মাথায় ছিল মিরাজ ভাইয়ের পরেও সাকিব ভালো ব্যাটিং করে, তাসকিন ভাই ভালো ব্যাটিং করে। এমনকি তাইজুল ভাই, শরিফুল এরাও ভালো ব্যাটিং করে। আমার ওদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওরা শেষ পর্যন্ত যারা আছে তাদের নিয়েই আমি খেলব। দলের জন্য যতটুকু ক্যারি করতে পারি।'
ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে হৃদয় আরও বলেন, 'দেখেন শেষ দিকে যারা আসে ব্যাটিংয়ে তাদের রান অনেক ইমপ্যাক্টফুল। তাসকিন ভাইয়ের রান, সাকিবের রান। দুজনের সাথেই ভালো জুটি হয়েছে। দলকে অনেক সাহস দেয় এই রানগুলো। সবসময় এটা দলের জন্য ভালো দিক।'