রূপগঞ্জকে জেতালেন সাদমান, বৃথা গেল সাদিকুরের লড়াকু ইনিংস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সিটি ক্লাবের হয়ে একাই লড়াই করেছেন সাদিকুর রহমান। আব্দুল হালিম ও আলাউদ্দিন বাবুর বোলিং তোপে ধস নামে দলটির ব্যাটিং অর্ডারে। তারা দুজনে ৪টি করে মোট ৮ উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাদিকুর। তার ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১৮৭ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায় সিটি ক্লাব।
শরিফুল-তানজিদে রূপগঞ্জের উড়ন্ত সূচনা
১৪ ঘন্টা আগে
যদিও অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই উপহার দিতে পারেনি সিটি ক্লাব। সাদমান ইসলামের ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটের সহজ জয় পায় লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। অবশ্য সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার তৌফিক খান তুষারকে হারায় রূপগঞ্জ। মাত্র পাঁচ রান করেই মেহেদি হাসানের শিকার হন তিনি।
এরপর উইকেটে আসা রিজওয়ান চৌধুরীকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন সাদমান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৪ রানে নাইমুর রহমান নয়নের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। সেই ধাক্কা সামলে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়েন সাদমান। কিন্তু ইফরান হোসেনের বলে ৩২ রান করা মুমিনুল এলবিডব্লিউয়ের শিকার হলে ৫৫ রানের জুটি ভাঙে তাদের।

এরপর উইকেটের অন্যপাশে থাকা সাদমান টানা দুই চারের মারে ৬৫ বলেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ব্যাটে করেই জয়ের পথে থাকে দলটি। শেষ দিকে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ১৮ ও শামিম পাটোয়ারি ২ রানে ফিরলেও সমস্যা হয়নি দলটির। সাদমানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই মৌসুমে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ।
সিটি ক্লাবের হয়ে ইফরান, মেহেদি, নয়ন, আশিক ও সাদিক একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে এদিন সিটি ক্লাবের ওপেনার সাদিকুর ছাড়া কেউই তেমন রান করেনি। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আরেক ওপেনার হাসান ফিরেছেন ১৭ বলে মাত্র ৬ রান করে। এরপর দলটির টপ অর্ডারে কোনো ব্যাটারই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৬৫ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাদিকুর। এ সময় আশিক উল আলমকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সাদিকুর। কিন্তু ৩৪ রানে আশিক ফিরলে তাদের ৬৬ রানের জুটি ভাঙে। এরপর হালিম ও বাবুর বোলিং তোপে কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘরে পৌছাতে পারেনি। সাদিকুর শেষ পর্যন্ত পুড়েছেন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে।
হালিমের বলে বোল্ড ফেরেন সাদিকুর। ইনিংস জুড়ে ১১ চারের সাহায্যে ১১০ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার ইনিংসে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পায় সিটি ক্লাব। রূপগঞ্জের হয়ে হালিম ও বাবু নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। দুটি উইকেট পেয়েছেন শুভাগত হোম।