শান্ত এর চেয়েও সাবলীল, আরও দাপুটে: মুশফিক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরটা মোটেই ভালো যায়নি নাজমুল হোসেন শান্তর। ১২ ম্যাচে মোটে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৭৫ রান। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শান্ত।
জানান দিয়েছিলেন বিপিএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে বেশি সময় নেবেন না। হলোও তাই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেই খেললেন অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যেকোনো ব্যাটারের এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

যদিও এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি। রিয়াদ ফিরে যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে জিতিয়ে ফিরেছেন শান্ত।
ম্যাচ শেষে শান্তকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মুশফিক। এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা দায়িত্ব পেলে আরও ভালো খেলে। শান্তকে তাদেরই একজন মনে করেন মুশফিক। সেই সঙ্গে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার জানিয়েছেন শান্তর ওপর তার পূর্ণ আস্থা ছিল।
মুশফিক বলেন, 'দেখুন বিপিএল এক ফরম্যাট এটা আরেক ফরম্যাট। কিছু কিছু মানুষ যখন দায়িত্ব বেশি থাকে তখন সেরাটা খেলে। ও এরকম মানসিকতার একজন ছেলে, ওর কাছে যত বেশি দায়িত্ব থাকে এটাকে তত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় এবং ওভাবে পারফর্ম করে। ও জাতীয় দলে রান করা শুরু করবে এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।'
মারকুটে ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত শান্ত। নিজের দিনে কোনো বোলারকেই পাত্তা দেন না তিনি। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশের হয়ে ধারাবাহিকভাবে রান করছেন শান্ত। শ্রীলঙ্কা সিরিজেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বিশেষ করে এই ম্যাচে যখন বাউন্ডারি বের করতে পারছিল না বাংলাদেশ। দশ ওভার বাউন্ডারি শূন্য থাকার পরও শান্ত এবং মুশফিক সিঙ্গেলস-ডাবলসে চল্লিশের বেশি রান তুলেছেন। মুশফিকের চোখে এখানেই শান্ত অন্যদের চেয়ে ভিন্ন।
অধিনায়কের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'শান্ত এর চেয়েও সাবলীল, আরও দাপট নিয়ে খেলে। এখনও অনেক কিছু বাকি। সে আরও ভালো ক্রিকেট খেলে। পরিবর্তন যেটা- আগে ভালো শুরু পেলে ৫০-৬০ রান করত এখন বড় ইনিংস খেলছে, দলকে জেতাচ্ছে। আজ দেখুন, একশ করার পরের বলে যেভাবে মিড অনে অনায়াসে একটা সিঙ্গেল বের করেছে এটাই প্রমাণ করে সে দলের জন্য কত চিন্তা করে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বারবার বলছিল, আমরা যেন ২০-৩০ রান করে হলেও অবদান রাখি, কাউকে যেন সুযোগ না দেই। কারণ ক্রিকেটে যেকোনো কিছু হতে পারে।'