শান্ত-মাহমুদউল্লাহর জুটিকে কৃতিত্ব দিলেন মুশফিক

ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রান তাড়ায় একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের জুটি গড়ে ৬ উইকেটের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমও। তবে ম্যাচ জয়ের জন্য বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার কৃতিত্ব দিচ্ছেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিকে।
রানপ্রসবা উইকেট হলেও খানিকটা ঘাস থাকায় শুরুর কয়েক ওভার চ্যালেঞ্জিং ছিল ব্যাটারদের। সেই চ্যালেঞ্জেই হেরে গেছেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার এবং তাওহীদ হৃদয়। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার দ্রুত বিদায় নিলে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে স্বাগতিকদের টেনে তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ।
২৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালেও নিজের সহজাত ব্যাটিংই করছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। চাপে ভেঙে না পড়ে বরং শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিপক্ষে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছেন। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে আউট করা দিলশান মাদুশঙ্কাকে তিনটি চার মেরে চাপ কমিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে মারা মাহমুদউল্লাহর ছক্কা সাহস জুগিয়েছে ড্রেসিং রুমে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটাই জানালেন অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক। এমন ইন্টেন্ট দেখানোর জন্য তাদের ৬৯ রানের জুটির পাশাপাশি মাহমুদউল্লাহকে আলাদা করে কৃতিত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার।
এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘একেই বলে অভিজ্ঞতা। শুধু এই ওভারই না। হাসারাঙ্গাকে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা মারা। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসব যখন পক্ষে আছে, প্রতিপক্ষের সেরা বোলার যখন চাপে পড়ে যায় তখন তারাও ভিন্ন চিন্তা করে। উইকেটের জন্য যায় না, ভাবে এক এক করে ছেড়ে দেই।’
‘তখনই পার্টনারশিপটা ভালো বিল্ডআপ হয়। অভিজ্ঞতা অনেক বড় জিনিস। রিয়াদ ভাই যে ইনটেন্টটা দেখিয়েছে। এই পুরো ম্যাচের প্রথম কৃতিত্ব রিয়াদ ভাই ও শান্তর পার্টনারশিপ এবং সবার আগে রিয়াদ ভাই। ঐ সময়ে রান করাটা… আমার জন্য, শান্তর জন্য রান রেটের কোনো চাপই ছিল না।’
৩৭ রান করা মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলে ভাঙে শান্তর সঙ্গে তার ৬৯ রানের জুটি। যদিও জয় পেতে বাংলাদেশের খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। শান্তর সঙ্গে বাকি কাজটা ভালোভাবেই সেরেছেন মুশফিক। অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খেলা বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গে মুশফিকর ১৬৫ রানের জুটি জয় নিশ্চিত করেছে। নিজেদের জুটি নিয়ে খুশি হলেও আবারও প্রশংসা করেছেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর জুটির।
মুশফিক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের পার্টনারশিপ ভালো হয়েছে। তবে মূল ভূমিকা রেখেছে রিয়াদ ভাই ও শান্তর পার্টনারশিপ। তখন বল নতুন ছিল, শিশিরেরও তেমন ভূমিকা ছিল না। ২৫৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩টি উইকেট পড়ে গেলে… ওরা ভালো শুরু পেয়েছিল। তখন রিয়াদ ভাই ও শান্ত ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেছে। ঐ যে রান রেট ঠিক ছিল ঐ সময়টায়, তাতে আমার কাজটা সহজ হয়ে গেছে।’