রনি-অঙ্কনের হাফ সেঞ্চুরির পর মুশফিকের বোলিংয়ে মোহামেডানের জয়
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইমরুল কায়েস ব্যর্থ হলেও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পথ দেখান রনি তালুকদার এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তাদের দুজনের ১৩৭ রানের জুটিতে বড় পূঁজির ভিত পায় ঐহিত্যবাহী দলটি। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর রনি ও অঙ্কন বিদায় নিলে হোঁচট খায় তারা। শেষের দিকে রুবেল ম??য়ার ৩৩ রানের সুবাদে ২৪০ রানের পুঁজি পায় ইমরুলের দল। লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিটি ক্লাব। মুশফিক হাসান ও আরিফুল ইসলামের বোলিংয়ে সিটি ক্লাবকে ১৯৭ রানে আটকে দেয় মোহামেডান। রাফসান আল মাহমুদের হাফ সেঞ্চুরি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। সিটি ক্লাবকে ৪৩ রানে হারিয়ে জয় দিয়ে ডিপিএল শুরু করলো তারা।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৪১ রান তাড়ায় ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই উইকেট হারায় সিটি ক্লাব। নাঈম হাসানের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে মিড অনে থাকা ইমরুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাদিকুর রহমান। বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরে গেছেন ১৮ বলে মাত্র ১ রান করে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরও এক উইকেট হারায় সিটি ক্লাব।

মুশফিকের অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেননি হাসানুজ্জামান। ফলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা অঙ্কনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৩০ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটারকে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মইনুল ইসলাম। মুশফিকের বলে শর্ট মিড অফে থাকা নাঈমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২ রান করা এই ব্যাটার।
এরপর অবশ্য শাহরিয়ার কমল ও রাফসান মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। যদিও জুটির হাফ সেঞ্চুরি হওয়ার পরই সেটা ভেঙে দিয়েছেন নাঈম। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বলে ইমরুলকে ক্যাচ দিয়েছেন শাহরিয়ার। ভালো ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। ফিরেছেন ৩৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে। তবে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রাফসান।
পঞ্চাশ পেরোনার পরও অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। স্পিনার আরিফুলের বলে বোল্ড হয়েছেন ৯০ বলে ৫৬ রান করা এই ব্যাটার। শেষ দিকে মইনুলের ৩৬ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। বাকিরা কেউই সেভাবে দাঁড়াতে না পারলে ১৯৭ রানে থামে সিটি ক্লাবের ইনিংস। মোহামেডানের মুশফিক চারটি, আরিফুল তিনটি এবং নাঈম নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৪০ রানে অল আউট হয় মোহামেডান। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন রনি। এ ছাড়া অঙ্কন ৬৭, রুবেল ৩৩ এবং আরিফুল করেছেন ১৯ রান। সিটি ক্লাবের জার্সিতে মেহেদী হাসান নিয়েছেন চারটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রাফসান ও সঞ্জিত সাহা।