‘এক ম্যাচ খারাপ খেললে আমরা খারাপ দল হয়ে যাই’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সময় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামের পাশের ফ্লাইওভারে সারিবদ্ধভাবে ভিড় জমাতে দেখা গেছে দর্শকদের। অথচ মাসখানেকের ব্যবধানে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ নেই একটুও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে অবশ্য জোর আলোচনা চলছে সমর্থকদের মাঝে। তবে একেবারেই ভিন্ন চিত্র সরজমিনে। চট্টগ্রামের দুটি বুথে টিকিট ছাড়া হলেও কোথাও নেই দর্শকদের আনাগোনা। তাতে করে প্রথম ওয়ানডেতে যে গ্যালারিতে খুব বেশি দর্শক দেখা যাবে না এটা প্রায় অনুমেয়ই।
মাঠের ক্রিকেটে কি তবে বাংলাদেশ দর্শকদের মন ভরাতে পারছেন না? এমন প্রশ্নের সঙ্গে অবশ্য একমত নন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে মানুষের হাইপ কম হওয়ার কারণ হিসেবে রমজানকে দেখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। হাইপ কম হলেও খুব একটা চিন্তিত নন তিনি।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমার কাছে সেটা মনে হয় না। আমরা এক ম্যাচ ভালো খেললে সব ঠিক হয়ে যায়। এক ম্যাচ খারাপ খেললে হয়তো খারাপ দল হয়ে যাই। তারপরে রমজান শুরু হচ্ছে হয়ত এই কারণেও হতে পারে (কম হাইপ)। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’
এক ম্যাচ খারাপ খেললেই ক্রিকেটারদের নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন সমর্থকরা। অনেক সময় অনেক আবেগী কথা বলে ক্রিকেটারদের খাটো করেন। তাদের পারফরম্যান্সের কারণেই দর্শকরা এটা করে থাকেন বলে মনে করেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়কের বিশ্বাস, যারা বাংলাদেশকে সমর্থন করেন তারা সবসময় মাঠে আসেন এবং আসবেন।
শান্ত বলেন, ‘আমাদের যারা ক্রাউড তারা সব সময় মাঠে আসেন, সমর্থন করেন। মাঝেমাঝে যেসব আবেগী কথাবার্তা বলেন এটা আমাদের কারণেই বলেন কারণ তারা প্রত্যাশা করেন আমরা আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমরা চেষ্টা করি তাদের কীভাবে আরও ভালো ফিডব্যাক দিতে পারি।’
এদিকে চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে ওয়ানডে খেলা হলেও তাতে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন শান্ত। সবশেষ ৪-৫ বছর ধরে এভাবেই ক্রিকেট এগোচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, ‘খুব একটা প্রভাব ফেলে না। কারণ এই জিনিসটা আমরা সবাই মানিয়ে নিয়েছে। গত চার-পাঁচ বছর ক্রিকেট এভাবেই এগোচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সিরিজ থাকে, বা প্রস্তুতির সুযোগ থাকে, সময়ও থাকে। মানসিকভাবে সবাই ফিট হতে পারে। সবাই এভাবেই খেলছে।’