তামিমের ব্যর্থতার দিনে প্রাইম ব্যাংককে জেতালেন হাসান-নাজমুল
.jpg)
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কদিন আগে ফরচুন বরিশালকে জেতানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৪৯২ রান করে বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে ব্যাটিংয়ে ডিপিএলের শুরুটা ভালো করতে পারলেন না প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়কের। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে মোটে ১৭ রান। তামিমের ব্যর্থতার দিনে প্রাইম ব্যাংকের জয়ে নায়ক নাজমুল ইসলাম অপু এবং হাসান মাহমুদ।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে দাঁড়িয়ে শেষ উইকেটে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন নাজমুল। ব্যাট হাতে ৪০ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়েও এক উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। এদিকে বোলিংয়ের বাকি কাজটা সেরেছেন হাসান ও সানজামুল। পেসার হাসান চারটি এবং সানজামুল নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তাদের এমন পারফরম্যান্সে শাইনপুকুরকে ৭১ রানে হারিয়ে ডিপিএলের এবারের মৌসুম শুরু করলো প্রাইম ব্যাংক।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৯৭ রান তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় শাইনপুকুর। হাসান মাহমুদের গুড লেংথে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন খালিদ হাসান। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়েছেন অমিত হাসান।

হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। কোন রান তোলার আগে ২ উইকেট হারানো শাইনপুকুরের হাল ধরেন জিসান আলম ও মার্শাল আইয়ুব। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন নাজমুল অপু। বাঁহাতি এই স্পিনারের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দিয়েছেন জিসান।
দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা তরুণ এই ওপেনারকে ফিরতে হয়েছে ২৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে। একটু পর আউট হয়েছেন মার্শালও। সানজামুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে মিঠুনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মার্শাল সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ২১ রানে।
এরপর দ্রুতই ফেরেন ইরফান শুক্কুর, জাওয়াদ রোয়েন, আকবর আলীরা। শেষ দিকে আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি আরাফাত সানির ব্যাট থেকে আসা ২০ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে পেসার হাসান একাই নিয়েছেন চার উইকেট। স্পিনার সানজামুল তিনটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাজমুল অপু, মেহেদী এবং নাইম ইসলাম।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে প্রাইম ব্যাংক। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। এক প্রান্তে তামিম খানিকটা ধীরগতিতে খেললেও দ্রুতই রান তুলছিলেন দিপু। তাদের দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভেঙেছেন হাসান মুরাদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের মিডল স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা অমিতকে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম।
প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক ফিরেছেন ১৭ রানে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর আউট হয়েছেন দিপুও। ডানহাতি এই ওপেনারকেও ফিরিয়েছেন মুরাদ। এরপর জাকির হাসান, নাইম ইসলামরা থিতু হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জাকির ২৪ এবং নাইম আউট হয়েছেন ২৫ রানে। পারভেজ হোসেন ইমন, মিঠুন, মেহেদী ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বিপাকে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।
শেষের জুটিতে প্রাইম ব্যাংককে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন নাজমুল অপু ও রুবেল হোসেন। তারা দুজনে মিলে ৬৯ রান যোগ করেছেন। যেখানে ব্যাট হাতে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন নাজমুল অপু। তাকে সঙ্গ দেয়া রুবেলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। শাইনপুকুরের হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ চারটি এবং সানি নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এ ছাড়া স্পিনার হাসান মুরাদ নিয়েছেন দুটি উইকেট।