‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন চ্যালেঞ্জ মেনে নিতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইতিহাস গড়ার একটা দারুণ সুযোগ ছিলো বাংলাদেশের। হাতছানি ছিল প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন???টি সিরিজ জয়ের। কিন্তু ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লঙ্কান পেসার নুয়ান থুশারার হ্যাটট্রিকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। মূলত তার সাইড আর্ম অ্যাকশনে মাথা নত করতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তদের।
এক সময় এই সাইড আর্ম অ্যাকশনে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। তার অবসরের পর মাথিশা পাথিরানা এমন অ্যাকশন নিয়ে ব্যাটারদের ভীতি ছড়াচ্ছেন। একই অ্যাকশনের বোলার নুয়ান থুশারা বাংলাদেশি ব্যাটারদের কাছে একেবারেই নতুন। এর আগে ৭টি টি-টোয়েন্টি খেললেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে মোট ৬টি উইকেট ছিল তার ঝুলিতে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নেমেই নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৪ ওভারে খরচা করেছেন মাত্র ২০ রান। দারুণ এক হ্যাটট্রিকে ফিরিয়েছেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত নিজেদের ব্যর্থতা মাথা পেতে নিয়েছেন। জানিয়েছেন সাইড আর্ম অ্যাকশন খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় এই ম্যাচে থুশারার বোলিং বাংলাদেশের কাছে দুর্ভেদ্য ছিল।
শান্ত বলেন, 'হ্যাঁ আমার তো তাই মনে হয় যে অই ওভার যদি আমরা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম, শুরুর দিকে যদি নতুন বলটা আরও ভালোভাবে খেলতে পারতাম ভিন্ন কিছু হতে পারত হয়ত। আসলে এরকম যে সবসময় হয় তা তো না। তবে বোলারকে কৃতিত্ব দিতে হবে যেরকম বোলিং করেছে সহজ ছিল না। হ্যাঁ এরকম হলে কীভাবে আমরা সামাল দিতে পারি সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।'
মুলত থুশারার একাদশে সুযোগ আসে দিলশান মাধুশঙ্কার চোটের কারণে। সাইড আর্ম অ্যাকশনের কারণে উইকেট থেকে বেশ ভালোই সুবিধা পেয়েছে থুশারা। বল অনেক নিচু হয়ে আসছিল ব্যাটারদের কাছে। সেই সঙ্গে সুইংয়ের তারতম্যে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
থুশারার প্রশংসা করে শান্ত বলেন, 'ওর তো অবশ্যই অ্যাকশনটা একটু অন্যরকম আমরা খুব বেশি খেলি না এমন। আগের দুই ম্যাচে পাথিরানাকে ভালোভাবেই সামলেছি। আমার মনে হয় শুরুর দিকে বলটা সুইং ও করছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরকম চ্যালেঞ্জ মেনে নিতে হবে এবং কীভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি সেটা নিয়ে প্ল্যান করতে হবে।'