টেস্টে মানসিকতা, ওয়ানডেতে শিরোপা, টি-টোয়েন্টিতে আরও উন্নতি চান শান্ত

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভুলের কারণে আমাদের খেসারৎ দিতে হয়েছে: শান্ত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
বিপিএল চলার মাঝপথেই বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। নেতৃত্ব পেয়েই ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণের জন্য আলাদাভাবে পরিকল্পনা শুরু করেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য নিয়ে খেলার মতো মানসিকতা, ওয়ানডেতে শিরোপা এবং টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি উন্নতি চান তরুণ এই অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের আগে থেকেই অবশ্য নেতৃত্বের লাইমলাইটে আসেন শান্ত। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর বিশ্বকাপে তখনকার নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে না খেলার সময়ে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শান্তকে।

বিশ্বকাপ শেষে তিন সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব ইনজুরিতে সময় পার করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন শান্ত। এই দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্টও নেতৃত্ব দেন তিনি।
দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার
৯ ঘন্টা আগে
ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে শান্তর ভাবনা, 'ওয়ানডেতে আমরা মাশাআল্লাহ ভালো করতেছি। আমার কাছে মনে হয় দল হিসেবে আমরা বড় কোনও টুর্নামেন্ট পাইনাই (শিরোপা)। ওই পরিকল্পনা নিয়ে আগাব যে আমরা কীভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি বা দেশের হয়ে একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি।'
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও উন্নতি চান তিনি, 'টি-টোয়েন্টিতে গতবছর ভালো গেছে। টি-টোয়েন্টিতে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে আমার মনে হয়। আমরা যদি আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করি তাহলে মনে হবে যে যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো খেলছি। দিনের পর দিন খেলাগুলো যখন শুরু হবে তখন পরিকল্পনা আরও পরিষ্কার হবে।'
সাম্প্রতিক সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ সফল শান্ত। নিউজিল্যান্ড সফরে একটি টি-টোয়েন্টি জিতে তারই অধীনে সিরিজ ড্র (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়) করে বাংলাদেশ। এরপর একটি ওয়ানডেও সেখানে জিতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচও জিতেছেন অধিনায়ক শান্ত। লাল বলের ক্রিকেট বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে।
শান্ত আরও বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেটে আমার মনে হয় না যে আমরা খুব উন্নতি করেছি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম তার থেকে ভালো খেলা শুরু হয়েছে। তবে এখন যে জিনিসটা আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই যে হোমে যখন আমাদের ম্যাচগুলো হবে ওই ম্যাচগুলোর ম্যক্সিমামটা যেন আমরা জিততে পারি। টেস্ট খেলার যে গুরুত্বটা এটা যেন সবার মধ্যে আরও ভালোভাবে তৈরি হয়। আমরা যখন দেশের বাইরে যাব, বাইরের দলগুলোর সাথে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।'