এখন আর খারাপ লাগে না, অভ্যস্ত হয়ে গেছি: তাইজুল

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাকিব আল হাসান থাকার পরও টেস্টে বাংলাদেশের অটোচয়েজ তাইজুল ইসলাম। ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়ানডে দলেও খেলেছেন কয়েকটি সিরিজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে কখনই নিজেকে সেভাবে মেলে ধরার সুযোগ মেলেনি। বেশ সবশেষ কয়েক বছরে টি-টোয়েন্টিতে ডাক পেলেও বাদ পড়েছেন না খেলেই। ম্যাচ না খেলে বাদ পড়লেও এখন আর খারাপ লাগে না বলে জানান তাইজুল।
২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেলেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে তাইজুলের অভিষেক হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রায় ৫ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। মাঝে বেশ কয়েকটি সিরিজে অবশ্য সুযোগ পেলেও ম্যাচ খেলা হয়নি তার। গত বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ছিলেন না।

যদিও বিপিএলের পর হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে আছেন তাইজুল। তবে পরের সিরিজের দলে থাকবেন কিনা জানেন না তিনি। সেই সঙ্গে বাঁহাতি এই স্পিনার জানান, প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সব সংস্করণে খেলবে না এবং অনেক সময় অনেকে ভালো খেলেও সুযোগ পায় না। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন, ‘(হাসি)। আসলে প্রত্যেকটা প্লেয়ার সব ফরম্যাটে খেলবে না সবসময় দেশের হয়ে। আর এটাই মেনে নিতে হবে।’
‘অনেক দেশ আছে যেখানে অনেক ভালো করলেও সবসময় সুযোগ আসে না। আমি একটা জিনিস চেষ্টা করি যখনই সুযোগ আসে তখনই ভালোভাবে (নিজেকে) মেলে ধরার জন্য। আমার মনে হয় সামনে আবার সুযোগ আসবে কিনা এই সিরিজের পরে এটা আমি জানি না। বর্তমানে যখন আমি থাকব তখন আমি বর্তমান নিয়েই চিন্তা করব। আর আমার চিন্তা থাকেই যে বাংলাদেশের হয়ে ভালো করব।’
দলে ডাক পেয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়ায় আগে আক্ষেপ করতেন তাইজুল। তবে এখন আর আগের মতো খারাপ লাগে না বলে জানিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে তাইজুল বলেন, ‘না এখন আর লাগে না। এটা হয়তবা প্রথম দিনে লাগত, অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
প্লে অফে যাওয়ার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন তাইজুল। দারুণ বোলিংয়ে ৩ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। যেখানে ফিরিয়েছেন লিটন দাস, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং আন্দ্রে রাসেলকে। তাইজুল জানিয়েছেন, ভালো করলে সবসময় ভালো লাগে।
তাইজুল বলেন, ‘আসলে ভালো কিছু করলে তো ভালো লাগেই। একজন প্লেয়ার যখন ভালো কিছু করে তখন তার ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। এখানে আমি বলব যে, একজন প্লেয়ারকে যখন আপনি বিশ্বাস করবেন বা তার উপর বিশ্বাস রাখবেন তখন ভালো করাটাই স্বাভাবিক। হয়তবা এই জিনিসগুলার অনেক ঘাটতি অনেক সময় ছিল। আমি প্লেয়ার হিসেবে একটা প্লেয়ারকে সাপোর্ট করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যার কারণে এই জিনিসগুলা অনেক কামব্যাক করে।’