রাসেলের ঝড়ে রংপুরের জয়রথ থামালো কুমিল্লা

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||
এক, চার, ছক্কা, চার, ছক্কা, চার এবং চার। ম্যাচ জিততে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের যখন শেষ ৪ ওভারে ৩৩ রান প্রয়োজন তখন হাসান মাহমুদের এক ওভারে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। তাতে করে ম্যাচ জমে ওঠার সুযোগ থাকলেও রাসেলের ঝড়ে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। রাসেলের ১২ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ক্যামিওতে রংপুরের জয়রথ থামিয়েছে কুমিল্লা। টানা জিততে থাকা রংপুর হারল ৮ ম্যাচ পর।
চট্টগ্রাম ১৫২ রান তাড়ায় ভালো শুরুর আভাসই দিলেন লিটন ও সুনীল নারিন। আবু হায়দার রনির প্রথম ওভারে দুই চার মেরে শুরু করলেন লিটন। পরের ওভারে শেখ মেহেদী দুই চার মেরেছেন নারিন। চার ওভারে কুমিল্লার রান বিনা উইকেটে ৩৬। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসে উইকেট হারায় তারা। সাকিব আল হাসানের শর্ট ডেলিভারিতে টেনে পুল করেছিলেন নারিন।

শামীম হাসান পাটোয়ারী ডিপ মিড উইকেটে দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। ভালো শুরু করা নারিন ফেরেন ১১ বলে ১৫ রান করে। একই ওভারে তাওহীদ হৃদয়কেও ফিরিয়েছেন সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়। পাওয়ার প্লেতে অবশ্য আর কোনো উইকেট হারায়নি কুমিল্লা।
এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নিতে থাকেন লিটন। তারা দুজনে মিলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকা লিটনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিবই। বাঁহাতি এই স্পিনারের ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়েছেন হাসান মুরাদের হাতে। গত ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮৫ রানের ইনিংস খেলা লিটন এদিন আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৪৩ রানে।
পরের ওভারে ফিরেছেন অঙ্কনও। আবু হায়দারের লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৩৯ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। শেষদিকে মাত্র ১২ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন। তাকে সঙ্গে দেয়া মঈন আলী অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে। রংপুরের হয়ে একাই তিন উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ব্রেন্ডন কিং, রনি, মেহেদী এবং নুরুল হাসান সোহানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে। দারুণ ছন্দে থাকা সাকিবও ফিরেছেন দ্রুতই। ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর রংপুরকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন টম মুরস এবং জিমি নিশাম।
শেষদিকে শামীম, আবু হায়দাররা কেউই রানের দেখা পাননি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রংপুরকে লড়াইয়ের জন্য ১৫০ রানের পুঁজি এনে দেন নিশাম। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার খেলেছেন ৪২ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাসেল ও মুশফিক হাসান। এ ছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড।