promotional_ad

খুলনাকে হারিয়ে প্লে অফে চট্টগ্রাম

promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||


খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য ছিল বাঁচা-মরার। প্লে অফে যেতে হলে খুলনার বিপক্ষে জিততেই হতো তাদের। এমন ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরিতে ১৯২ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় খুলনা। দারুণ বোলিংয়ে এনামুল হক বিজয়ের দলকে ৬৫ রানে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফে জায়গা করে নিলো চট্টগ্রাম। এর আগে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এদিকে চট্টগ্রামের বিপক্ষে হারে প্লে অফে যাওয়ার সমীকরণ আরও কঠিন হলো খুলনার।


জয়ের জন্য ১৯৩ রান তাড়ায় ভালো শুরুর বিকল্প ছিল না খুলনার। তবে সেটা করতে পারেননি দলটির দুই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। বিলাল খানের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর অবশ্য খুলনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এনামুল হক বিজয় এবং শাই হোপ।


তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে ফ্লিক করেছিলেন বিজয়। শর্ট ফাইন লেগ থেকে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে একেবারে সীমানার কাছে ক্যাচ নেন রোমারিও শেফার্ড। ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটারের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ৩৫ রান করা বিজয়। চারে নেমে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন এভিন লুইস।


promotional_ad

এরপর দ্রুতই ফিরেছেন শাই হোপও। আগের বলে ছক্কা মারলেও পরের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিয়েছেন। খুলনার এই উইকেটকিপার ব্যাটার ফিরেছেন ৩১ রানের ইনিংস খেলে। মাহমুদুল হাসান জয় ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকিরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ১৮ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। চট্টগ্রামের হয়ে শুভাগত তিনটি উইকেট নিয়েছেন।


এর আগে চট্টগ্রামের পুরো ইনিংসটা ছিল তানজিদ তামিমময়। তবে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। বর্তমান সময়ে বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে খ্যাতি পেলেও চট্টগ্রামের হয়ে অভিষেকে জ্বলে উঠতে পারেননি মোহাম্মদ ওয়াসিম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ওপেনার এদিন ফিরেছেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। নাসুম আহমেদের টসড আপ ডেলিভারিতে স্লপ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন ১ রানে।


তিনে নেমে তানজিদ তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন সৈকত আলী। তাদের দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তোলে চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য উইকেট হারায় তারা। জেসন হোল্ডারের লেংথ ডেলিভারিতে জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৮ রান করা সৈকত। এরপর তানজিদ তামিমকে সঙ্গ দেন ব্রুস।


এদিকে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ তামিম। এরপর দ্রুত রান তুলতে থাকেন তরুণ এই ওপেনার। পেয়েছেন এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও। হোল্ডারের বলে কভার পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন তিনি। তাতেই ৫৮ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন তানজিদ তামিম। যা এবারের আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগের দুটি করেছেন তাওহীদ হৃদয় এবং উইল জ্যাকস।


সেঞ্চুরির পর আরও দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তানজিদ তামিম। তবে তাকে থামান ওয়েন পারনেল। বাঁহাতি এই পেসারের দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছেন ১১৬ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। এদিকে ৩৬ রান করেছেন ব্রুস। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন পারনেল, নাসুম, হোল্ডার এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball