promotional_ad

জ্যাকসের সেঞ্চুরি, মঈনের হ্যাটট্রিক এবং কুমিল্লার বড় জয়

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||


উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরির সঙ্গে মঈন আলী ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার ২৩৯ রানের পুঁজি। রান তাড়ায় জশ ব্রাউন ও তানজিদ তামিম মিলে ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়লেও মাঝে হোঁচট খায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্রুত কয়েকটি হারালে চট্টগ্রামের হার প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তখন কুমিল্লা কতটা দ্রুত জয়োল্লাস করতে পারবে সেই প্রহরই গুনছিলেন সমর্থকরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয়ের আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা বাড়তে দিলেন না মঈন। নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রামকে ৭৩ রানে হারিয়ে জয়ের ধারায় অব্যাহত রাখলো লিটনের দল।


২৪০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামকে প্রত্যাশিত শুরুই এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম এবং জশ ব্রাউন। প্রথম কয়েক ওভারে রয়েসয়ে খেললেও পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তোলে চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লেতে তানজিদ তামিমের উইকেট হারাতে পারতো স্বাগতিকরা। তানভীর ইসলামের বলে কভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি লিটন দাস। তাতে ২০ রানে জীবন পান তানজিদ তামিম।


পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার একটু পরই অবশ্য হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। মুস্তাফিজুর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে দারুণভাবে কাট করলেন তানজিদ তামিম। তবে ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ লুফে নিলেন জ্যাকস। তরুণ এই ওপেনার ফিরলেন ৪১ রানে, ভাঙে ব্রাউনের সঙ্গে ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার ব্রাউন ফিরেছেন পরের ওভারেই।



promotional_ad

রিশাদ হোসেন ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন অজি এই ক্রিকেটার। তবে টপ এজ হয়ে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ ফিরলেন ৩৬ রান করে। এরপর দ্রুতই টম ব্রুস, শাহাদাত হোসেন দিপু এবং কার্টিস ক্যাম্ফার। ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রামের হাল ধরার চেষ্টা করেন শুভাগত হোম এবং সৈকত আলী। তারা দুজনে মিলে কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন।


দ্রুত রানও তুলছিলেন তারা দুজন। তবে ১১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলা সৈকতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মঈন। একটু পর ফিরেছেন ১৯ রান করা শুভাগতও। এরপর বাকিরা দ্রুতই বিদায় নিলে ১৬৬ রানে অল আউট হয় চট্টগ্রাম। টানা তিন বলে শহিদুল, আল আমিন এবং বিলাল খানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন মঈন। কুমিল্লার হয়ে এদিন চারটি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন ও রিশাদ।


এর আগে উইকেটে খানিকটা ঘাস থাকায় শুরুতে বোলিংয়ে বাড়তি সুবিধা পেতেই হয়তো টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জ্যাকসের উইকেট তুলে নিয়ে কুমিল্লাকে চেপে ধরতে পারতো স্বাগতিকরা। নিহাদ উজ জামানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন জ্যাকস। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি ব্রুস। নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটকিপারের ক্যাচ মিসেই শেষ পর্যন্ত কপালে পুড়েছে চট্টগ্রামের।


জ্যাকস খানিকটা ধীরগতির শুরু করলেও লিটন দাস ছিলেন দ্রুত রান তোলার মেজাজে। প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান তোলা কুমিল্লা ২৭ রান এনেছে পরের ওভারে। আল আমিন হোসেনের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন জ্যাকস ও লিটন। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন লিটন।



বিধ্বংসী হয়ে ওঠা কুমিল্লার অধিনায়ককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই পেসারের পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ডিপ মিড উইকেটে থাকা ক্যাম্ফারের হাতে ধরা পড়েন ৩১ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলা লিটন। পরের বলে তাওহীদ হৃদয়কেও ফিরিয়েছেন শহিদুল। লেংথ ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পে এসে লেগ সাইডে পুশ করতে গিয়ে বলেন লাইন মিস করেন হৃদয়। তাতেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানকে ফিরতে হয়েছে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে।


বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ব্রুক গেস্টও। সৈকতের বলে ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার ফিরেছেন ১০ রানে। ব্রুক ফেরার পর ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন জ্যাকস। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরই বিধ্বংসী হয়ে উঠেন তিনি। চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। এদিন ৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়েছেন আল আমিন। বিপিএলের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা জ্যাকস সেঞ্চুরি ‍করেছেন ৫০ বলে। শহিদুলের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করেন।


এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের এই ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে। এদিকে তাকে সঙ্গ দেয়া মঈনও খেলেছেন মাত্র ২৪ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। যদিও দুবার জীবন পেয়েছেন তিনি। লিটন ও তাদের দুজনের ব্যাটে ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। যৌথভাবে বিপিএলের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball