ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস ব্যবধানে হারাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
৫ মার্চ ২৫
ম্যাচটা দ্বিতীয় দিনেই প্রায় জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষের আনুষ্ঠানিকতাই সারতে অবশ্য পরের দিন তারা সময় নেয় ১৯.১ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের ১২০ রানে থামানোয় ইনিংস পরাজয়ের সুযোগটা হাতছাড়া করে তারা। পরে অবশ্য দশ উইকেট হাতে রেখেই ২৬ রানের লক্ষ্য পূরণ করে দলটি। অ্যাডিলেডে এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৭৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ক্যারিবিয়ানরা। ইনিংস ব্যবধানে প্রায় হেরেই যাচ্ছিল দলটি। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আউট হন ক্যারিবিয়ানদের নবম ব্যাটার।
সেখান থেকে তাদের ইনিংস ব্যবধানে হার ঠেকান শামার জোসেফ এবং কেমার রোচ। প্রথম ইনিংসে শেষ উইকেটে এই জুটিই তুলেছিল ৫৫ রান। এবার বিপদের মুখে তারা তোলে ২৬ রান। নাথান লায়নের বলে ফেরার আগে শামার করেন ১৫ রান।
রোচ অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৫ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। পুরো ম্যাচে তিনি নয় উইকেট পেলেও ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড।

দ্বিতীয় ইনিংসটা অবশ্য একেবারে সহজ ছিল না অজিদের জন্যে। বিশেষ করে শামারের বোলিংয়ের সামনে বেশ কয়েকবার ভুগতে দেখা যায় উসমান খাওয়াজাকে। ২০ বলে ৯ রান করে খাওয়াজা শেষ পর্যন্ত শামারের বলে আহত হয়েই মাঠ ছাড়েন।
বরুণ-নোমানকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়ারিক্যান
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
ইনিংসের সপ্তম আর নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই বাউন্সার দেন শামার, তাতে আহত হন খাওয়াজা। তার মুখ থেকে রক্তও বের হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তবে স্টিভ স্মিথ ১১ এবং মারনাস ল্যাবুশেন ১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস)- ১৮৮/১০ (৬২.১ ওভার) (ম্যাকেঞ্জি ৫০, শামার ৩৬; কামিন্স ৪/৪১, হ্যাজেলউড ৪/৪৪)।
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস)- ২৮৩/১০ (৮১.১ ওভার) (হেড ১১৯, খাওয়াজা ৪৫; শামার ৫/৯৪, গ্রেভস ২/৩৬)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১২০/১০ (৩৫.২ ওভার) (ম্যাকেঞ্জি ২৬; হ্যাজেলউড ৫/৩৫)।
অস্ট্রেলিয়া (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৬/০ (৬.৪ ওভার) (স্মিথ ১১*)।