নাফিসার লভ্যাংশ শেয়ারের প্রস্তাবে বিসিবির না
.jpg)
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের স্থিতিশীলতা বাড়ানো এবং টুর্নামেন্টের মান বাড়াতে লভ্যাংশ শেয়ারের প্রস্তাব দিয়েছেন নাফিসা কামাল। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চেয়ারপার্সনের প্রস্তাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন জানিয়েছেন, বর্তমান মডেলের বাইরে গেলে বিপিএল আয়োজন করা কঠিন হয়ে যাবে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কিংবা পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) রাজস্ব বণ্টনের কাঠামো থাকায় টিকিট, মাঠ ও সম্প্রচার স্বত্ব থেকে একটা ভাগ পান ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। যার ফলে বেশি টাকা খরচ করলেও খুব বেশি লোকসানের মুখে পড়তে হয় না তাদের। বিপিএলে অবশ্য এমন কাঠামো ছিল না কখনই। গত কয়েক বছর ধরে নাফিসা এমন দাবি তুললেও তাতে সায় দেয়নি বিসিবি।
লভ্যাংশ থেকে ভাগ না পাওয়ায় শুধু মাত্র স্পন্সরদের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। যার ফলে এক কিংবা দুই মৌসুম পরই দলগুলো চলে যায়। কারণ এক মৌসুমে লস হলে পরের মৌসুমে তাদের স্পন্সর করতে চায় না বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তাতে করে বিপিএলে দল চালানো কঠিন হয়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। বিপিএল যেন আরও সুন্দর ও স্থায়ী হয় সে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে লভ্যাংশ ভাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন নাফিসা।

কুমিল্লার মালিকের চাওয়ায় খুব বেশি না দিলেও অল্প কিছু যাতে দেয় বিসিবি। কত শতাংশ দেবে কিংবা কিভাবে দেবে সেই সিদ্ধান্তের ভার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাঁধেই রাখছেন তিনি। সেই সঙ্গে এমন সিদ্ধান্ত নিলে বিপিএলের সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি উপকৃত হবে বলে জানান কুমিল্লার চেয়ারপার্সন। যদিও নিজামউদ্দিন জানিয়েছে, বিসিবি এটা চিন্তাও করতে পারছে না।
নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আসলে অনেক দিন ধরে লভ্যাংশ ভাগাভাগির যে বিষয়টা চলে আসছে সেটা বিভিন্ন মডেলকে রেফার করে। আমরা চাচ্ছি বিপিএলকে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে স্থিতিশীল (সাসটেনঅ্যাবল) রাখতে। স্থিতিশীল বিপিএল বলতে শুধু ক্রিকেট বোর্ডের দিক থেকে না, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্যও। যে সব মডেলগুলো উদাহরণ হিসেবে আসছে সেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও আর্থিক অবকাঠামো অনেক বিস্তৃত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যে মডেলে করছে আমরা সে মডেলে যাচ্ছি না, সেটা আমাদের জন্য স্থায়ী না। অনেক সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে আমরা বিপিএলটা করি। এ জন্য আমরা লভ্যাংশ ভাগাভাগির যে মডেল সেদিকে যাচ্ছি না, সেটা আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। বিপিএলকে নিয়মিত করার জন্য আমরা আমাদের মডেলে এগোচ্ছি। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে (বিপিএল নিয়মিত আয়োজন করা)।’
একই সময়ে বেশ কয়েকটি লিগ হওয়ায় বিদেশি ক্রিকেটারদের আনতে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয় বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। পুরো মৌসুমে কুমিল্লা কিংবা রংপুুর রাইডার্সের মতো দলগুলোর খরচ হয়ে থাকে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকা। লভ্যাংশ চাইলেও সেটির আগে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বসতে চান নাফিসা। চারবারের চ্যাম্পিয়নদের আশা পিএসএল কিংবা আইপিএলে যেমন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা তেমন কিছু যেন এখানেও হয়। এমন সম্মান কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
নাফিসা বলেন, ‘মিডিয়া রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস তারপর হচ্ছে টিকিট প্রাইস এগুলো কিন্তু অনেক পরের কথা। ফোকাস ওইখানে চলে যায় এগুলো গুরুত্বপূর্ণ কথা দেখে। সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে যেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বসে, একটা মিটিং বা কনভারসেশন হয় ওইটাই আমি চেয়েছিলাম। গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও আমি একই কথা বলেছি।’
‘এই ধারণাটা কিন্তু বাকি টুর্নামেন্টগুলোতেও আছে। আইপিএলেও আছে, পিএসএলেও আছে। পিএসএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে কথা না বলে তারিখ ঘোষণা করতে পারে না, তাদের মতামত না নেয়া পর্যন্ত। আমি মনে করি এটা জাস্ট সম্মান দেখানো। এই সম্মানটা আমরা পেলে কাজ করতে আরও মোটিভেটেড ফিল করবো।’