সাকিব-বাবরদের নিয়ে রংপুরের জয়ের লড়াই
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। সেটা ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার হাত ধরে। এবার তাদের হয়ে খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। যদিও দলটির অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের কাঁধে। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার মিলিয়ে এবার শক্তিশালী দল গড়েছে রংপুর।
দলটির হয়ে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানাকে। এ ছাড়া পাকিস্তানের মোহাম্মদ এহসানউল্লাহ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্র্যান্ডন কিংও সাকিব-সোহানদের সঙ্গে খেলবেন। তবে দলটির তুরুপেস তাস হতে পারেন আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। গত আসরে তাদের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সর্বশেষ বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তিনি।
সাকিবের সঙ্গে তারও অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখার আশায় থাকবে দলটির ম্যানেজমেন্ট। আগের আসরের মতো ওপেনিংয়ে দেখা যাবে রনি তালুকদারকেই। গত বিপিএলের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অংশ হয়ে গেছেন তিনি। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যেতে পারে ব্র্যান্ডন কিং অথবা বাবর আজমকে। মিডল অর্ডারে সাকিবের সঙ্গে মোহাম্মদ নবিও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
এ ছাড়া শেখ মেহেদী যেকোনো পজিশনেই দলের জন্য ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেন। সেই সঙ্গে তার অফ স্পিন বোলিংটাও কার্যকরী হবে ঢাকা-সিলেটের মাঠে। লোয়ার অর্ডারে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে শামীম পাটোয়ারি পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। দলটির পেস বোলিং আক্রমণে দেখা যাবে হাসান মাহমুদকে। গত আসরে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নেয়া এই পেসারকে ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
এ ছাড়া তরুণ ডানহাতি পেসার রিপন মন্ডলকেও দেখা যেতে পারে হাসানের সঙ্গে জুটি বেধে বল করতে। রংপুরের হয়ে চমক দেখাতে পারেন আরেক তরুণ পেসার আশিকুজ্জামানও। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে গত আসরে খেললেও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি। এবার নিজেকে উজাড় করে দিতে চাইবেন সোহান-সাকিবদের সঙ্গে। দলটির প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ কোচ সোহেল ইসলাম।

রংপুরের শক্তি-
সকালে এসে রাসেলদের দুপুরে ম্যাচ খেলাকে আদর্শ মনে করেন না আশরাফুল
৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
দলটিতে সাকিবের সঙ্গে আছেন এক ঝাঁক অলরাউন্ডার। শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ নবি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাদের কারণে একাদশ গভীরতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে এই অলরাউন্ডাররা যেকোনো পজিশনেই ব্যাট করতে পারেন। এ কারণে রংপুর বাড়তি সুবিধা পাবে একাদশ সাজাতে।
রংপুরের দুর্বলতা-
আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগের আসর। এ কারণে আসরের শুরুতে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের পেলেও শেষ ভাগে বাবর-এহসানউল্লাহদের পাবে না রংপুর। এটা তাদের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ ছাড়া মাথিশা পাথিরানা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও নিকোলাস পুরানরা বিপিএলের সঙ্গে শুরু হওয়া আইএল টি-টোয়েন্টি শেষ করে বিপিএল খেলতে আসবেন।
ফলে শুরু থেকেও কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলতে হবে দলটিকে। এদিকে দলটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র সাকিব আল হাসান চোখের সমস্যায় ভুগছেন। এজন্য তিনি যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন। যদিও বিপিএল শুরুর আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। তবে তার চোখের সমস্যার সমাধান না হলে বড় বিপদে পড়বে দলটি। এর আগে সাকিবকে চশমা পড়েও অনুশীলন করতে দেখা গেছে।
দেশি ক্রিকেটার-
সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, রিপন মণ্ডল, হাসান মুরাদ, আবু হায়দার, ফজলে রাব্বি, আশিকুজ্জামান।
বিদেশি ক্রিকেটার-
আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নিকোলাস পুরান, বাবর আজম, এহসানউল্লাহ, মাথিশা পাথিরানা, ব্রেন্ডন কিং, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মিচেল রিপ্নন, ইয়াসির মোহাম্মদ।