‘আমি অটো চয়েজের খেলোয়াড় না, আমাকে স্ট্রাগল করতে হয়’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নক আউটে চলে এসেছি, এটা ডু অর ডাই: মেহেদী
২ ফেব্রুয়ারি ২৫
ওয়ানডেতে সেভাবে সুযোগ না পেলেও স্পিনার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে কদর আছে শেখ মেহেদী হাসানের। তবে দলের অটো চয়েজ না বলে জানান ডানহাতি এই অফ স্পিনার। কদিন আগে নিউজিল্যান্ড থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ফেরা মেহেদী মনে করিয়ে দিয়েছেন তাকে খেলার জন্য স্ট্রাগল করতে হয়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় মেহেদীর। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের অভিষেকের পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৮৮টি ম্যাচে। যেখানে মেহেদী খেলেছেন ৪১ টি-টোয়েন্টিতে। অর্থাৎ বাংলাদেশের খেলা অর্ধেক ম্যাচেই ছিলেন না তিনি। মেহেদী যে অটো চয়েজ নয় সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও ২০২১ সালে অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মেহেদী। ২০২২ সালেও সুযোগ পেয়েছিলেন বেশ কিছু ম্যাচে। তবে গত বছর সেভাবে দলে সুযোগ পাননি এই স্পিনার। বাংলাদেশ ১১ টি-টোয়েন্টি খেললেও তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র তিনটি ম্যাচে। তাতে করে দলে আসা-যাওয়ার মাঝেই থাকেন তিনি।
সকালে এসে রাসেলদের দুপুরে ম্যাচ খেলাকে আদর্শ মনে করেন না আশরাফুল
৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
অটো চয়েজের প্রশ্নে মেহেদী বলেন, ‘প্রথমত আপনি যে কথাটা বলছেন, আমি অটো চয়েজের খেলোয়াড় না। আমার অনেক কিছু স্ট্রাগল করে খেলতে হয়। দেখা যাচ্ছে ১০ ম্যাচ, ১৫ ম্যাচ পর একটা সুযোগ আসে ওই সুযোগটা আমি নিজের জন্যই মুখিয়ে থাকি। সুযোগ আসবে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকি, চেষ্টা করি বাদ বাকি যাওয়ার হওয়ার আল্লাহর ইচ্ছা।’
স্পিনাররা পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি বোলিং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করলেও মেহেদী এখানে ব্যতিক্রম। তবে সেটার জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেন না বলে জানান তিনি। মেহেদী বলেন, ‘না, এরকম কিছু না। দেখুন, একজন বোলার হিসেবে নিজেকে যখন তৈরি করেছি তখন অভ্যাস আছে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করার। এটা আমার কাছে ম্যাটার করেন না।’
২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে শেষটা করেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করে। বাংলাদেশের একমাত্র জেতা ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মেহেদী। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন টিম সেইফার্ট ও ড্যারিল মিচেলের উইকেট। বাংলাদেশকে জিতিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন মেহেদী। সেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
ডানহাতি এই অফ স্পিনার বলেন, ‘অনুপ্রাণিত তো প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমার মনে হয়। ক্রিকেটে আপনি আজকে ভালো খেলবেন পরের দিনও ভালো খেলবেন সেটার তো নিশ্চয়তা নেই। প্রত্যেকটা ম্যাচ এবং দিনই চ্যালেঞ্জিং। তো ওইভাবে নিজের চিন্তা করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ওইভাবে চিন্তা করে। গত ম্যাচে আপনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ বা সিরিজ হয়েছে এই হিসেব করে কোনো খেলোয়াড়ই খেলে না। যেদিন যার থাকে সেদিন নিয়ে সে ব্যস্ত থাকে।’