বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা দলে ফিরতে বাধা হবে না, বিশ্বাস বেনক্রফটের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
৫ মার্চ ২৫
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে নিষিদ্ধ হন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এমন কাণ্ডের পর দলটির বোলার ইউনিট থেকে বলা হয়েছিল, এমন পরিকল্পনার কিছুই জানতেন না তারা। কিন্তু ২০২১ সালে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যানক্রফট মন্তব্য করেছিলেন অজি বোলারদের সবাই এটা জানতেন।
সেই দলে মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউডের সঙ্গে ছিলেন বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এদিকে ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর আরো একবার দলে ফেরার অপেক্ষায় আছেন শেফিল্ড শিল্ডের শেষ দুই মৌসুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যানক্রফট। দল নির্বাচনে অধিনায়কের ভূমিকা থাকে। তাই বেনক্রফটের প্রত্যাশা, তার সেই সাক্ষাৎকারের কোনো প্রভাব দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেবেন না কামিন্স।

ব্যানক্রফট বলেন, 'এটি তার ক্রিকেট দল, তিনি অধিনায়ক। কোনো সন্দেহ নেই যে তার নিজের অনুভূতি, মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। কামিন্সকে যতটুকু জানি সে একজন পেশাদার ব্যাক্তি। সে এই (তাকে দলে নেয়ার ক্ষেত্রে) সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিক এবং পেশাদার হবে কি না, সেটা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।'
অবশ্য বল টেম্পারিং এর সেই ঘটনাকে পিছনে ফেলে লম্বা সময় আগেই দলে ফিরেছিলেন ওয়ার্নার ও স্মিথ। সম্প্রতি নিজের টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় জানিয়েছেন ওয়ার্নার। ব্যানক্রফটও ফিরেছিলেন, তবে দলে থিতু হতে পারেননি। এমনকি ২০১৯ সালের অ্যাশেজে দুটি ম্যাচও খেলেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার 'এ' দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন এই ব্যাটার।
দল থেকে বাদ পরার পর সেই বিতর্কিত ম্যাচের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও খেলেছেন। তাই ব্যানক্রফট মনে করেন সাউথ আফ্রিকায় ঘটা সেই সকল কিছুই এখন অতীত, সেটাকে তিনি পিছনে ফেলে এসেছেন। তার মতে বাকিরাও একই চিন্তা করে। তাই নিজের দলে ফেরা নিয়ে এটা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তার।
ব্যানক্রফটের ভাষ্যমতে, 'আমি এখনো সেই সকল খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছুটছি। এটাকে আমি নিজের কাজের বাইরের একটি ঘটনা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। যেমনটা কাজের ক্ষেত্রে আমরা অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে উঠাবসা করি। অতীতে যা ঘটেছিলো সেটা এখন চলে গেছে। আমি জানি বাকিদের চিন্তাও একই।'
এ সময় নিজেকে দলে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল অনেক এগিয়ে গেছে। তারা সত্যিই সফল হয়েছে। আমি আমার ক্রিকেট এবং আমার ক্যারিয়ার নিয়েও এগিয়ে গেছি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে নিজের খেলায় কাজ করা এবং একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তারা একই ব্র্যান্ডে ক্রিকেট খেলে এবং আমি মনে করি একই পরিবেশে আসলে এটা কোনো সমস্যা হবে না।'