লোকেরা বিনোদনদায়ী হিসেবে মনে রাখবে, প্রত্যাশা ওয়ার্নারের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রংপুরের হয়ে খেলতে আসছেন রাসেল-ওয়ার্নারসহ ৫ বিদেশি
২৯ জানুয়ারি ২৫
সাজিদ খানের স্টাম্পের উপরে করা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাতে শেষ হলো ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ওপেনারের বর্ণিল এক টেস্ট অধ্যায়। ড্রেসিং রুমে ফিরে যাওয়ার পথে হেলমেটে আলতো করে চুমু এঁকে দিলেন ওয়ার্নার। পুরো সিডনির গ্যালারি তখন হাত তালিতে অভিবাদন জানাচ্ছিল ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামা এই ওপেনারকে।
দু হাত প্রসারিত করে, উঁচিয়ে সমর্থকদের সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন ওয়ার্নার। ভার্চুয়াল উপায়ে মাঠে লেখা উঠলো ‘থ্যাংক ইউ ডেভি’। মাঠের ক্রিকেটের মাধ্যমে বিনোদন দেয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবেন ওয়ার্নার। বাঁহাতি এই ওপেনারের আশা লোকেরা তাকে রোমাঞ্চকর ও বিনোদনদায়ী হিসেবে মনে রাখবে।

ম্যাচ শেষে ওয়ার্নার বলেন, ‘রোমাঞ্চকর ও বিনোদনদায়ী। যেভাবে খেলেছি, তাতে লোকের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি এবং আশা করি তরুণেরাও আমাকে অনুসরণ করবে। সাদা বল থেকে টেস্ট ক্রিকেট—এটাই আমাদের খেলার শীর্ষবিন্দু। তাই কঠোর পরিশ্রম করো এবং লাল বলের ক্রিকেট খেলো; কারণ, এটাও মজার।’
পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
৫ মার্চ ২৫
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব সংস্করণের ধারাবাহিকভাবে রান করে গেছেন ওয়ার্নার। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সবচেয়ে শক্তির জায়গা বিশ্বের নানা প্রান্তে রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়াতে বেড়ে উঠলেও উপমহাদেশেও অন্য সবার চেয়ে বেশিই দাপট দেখিয়েছেন তিনি। সিডনি টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় দেয়া ওয়ার্নার খেলেছেন ১১২ ম্যাচ।
যেখানে ৪৪.৫৯ গড়ে করেছেন ৮ হাজার ৭৮৬ রান। ২৬ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৩৭ হাফ সেঞ্চুরিও। নিজের শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসেও খেলেছেন পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। সিডনি টেস্টের পর আর কখনও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেখা যাবে না ওয়ার্নারকে। সতীর্থদের খেলতে নামতে দেখলে আবেগতাড়িত হবেন বলে জানান তিনি।
ওয়ার্নার বলেন, ‘আমার মনে হয় যখন তাদের মাঠে নামতে দেখব কিন্তু আমি খেলব না, তখন একটু আবেগতাড়িতই হব। তবে যেটা বলেছি, এই দলটা দারুণ। আমাদের বেশির ভাগের বয়সই ত্রিশের ওপাশে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও তরুণ না হলেও এই দলটা কর্মক্ষম, বিশ্বমানের এবং অসাধারণ।’