নতুন বছরে ওয়ানডেকেও বিদায় জানালেন ওয়ার্নার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিগ ব্যাশে আসছে নতুন নিয়ম, একসঙ্গে আউট করা যাবে দুই ব্যাটারকে!
২৪ জানুয়ারি ২৫
নতুন বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এবার বছরের প্রথম দিনই জানিয়ে দিলেন, ওয়ানডে ফরম্যাটও ছেঁড়ে দিচ্ছেন এই ওপেনার। তবে দেশের হয়ে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ (রবিবার) সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ওয়ার্নার।
অবসরের ঘোষণা দিলেও, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) চাইলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবেন বলে জানিয়েছেন ওয়ার্নার। নয়তো ক্যারিয়ারের বাকি সময় আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপ চলাকালীন ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ভাবনায় মনস্থির করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
নতুন বছরের প্রথম দিন সিডনিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডে ফরম্যাট ছাড়ার প্রসঙ্গে ওয়ার্নার বলেন, ‘অবশ্যই আমি ওয়ানডে থেকেও অবসর নিচ্ছি। ব্যাপারটা আমি বিশ্বকাপজুড়েই বলে আসছিলাম। এর মধ্যেই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতলাম, যেটা অনেক বড় অর্জন।'

'সুতরাং, আজ আমি দুটি সংস্করণ থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, যা আমাকে বিশ্বজুড়ে লিগ খেলার এবং ওয়ানডে দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে। সামনের দুই বছর আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলি এবং দলের কাউকে দরকার হয়, আমি থাকব’ যোগ করেন তিনি।
রংপুরের হয়ে খেলতে আসছেন রাসেল-ওয়ার্নারসহ ৫ বিদেশি
২৯ জানুয়ারি ২৫
অবসর নিলেও ২০২৫ সালে পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য দরজা খোলা রেখেছেন ওয়ার্নার। সেই হিসেবে তার সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ হয়ে থাকবে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের বিশ্বকাপ ফাইনাল। যে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফি, ওয়ার্নার জিতেছেন দ্বিতীয়বার।
ওয়ানডে ফরম্যাট ছাড়ার আগেই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ থেকে সরে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। সেই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার কথা তার। তবে এ বছর জুনে জুনে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকেও বিদায় বলার ভাবনায় আছেন অজি এই ওপেনার।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে দুুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন ওয়ার্নার। এখন পর্যন্ত ১৬১ ওয়ানডেতে ৪৫.৩০ গড়ে এই বাঁহাতি ব্যাটার রান করেছেন ৬ হাজার ৯৩২।
এর মধ্যে ২২টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডটি সাবেক ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের। তিনি ২৯টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। শতক হাঁকানোর দিক থেকে এরপরেই ওয়ার্নারের অবস্থান। ৩০টি শতক নিয়ে এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন অস্ট্রেলিয়াকে দুইবার বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক রিকি পন্টিং।