ক্রিকেটে বাংলাদেশের ভালো-মন্দের বছর

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মানুষ হিসেবে আমরা সবসময় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমাদের স্বপ্নগুলো একেকটা ডানা ছড়ানো পাখির মতো, নীল আকাশে মুক্ত হয়ে উড়ে বেড়াতে ব্যস্ত সময় পার করে। আমরা চাইলেই আসলে স্বপ্ন দেখতে পারি। স্বপ্ন দেখাটা তো আর দোষের কিছু নয়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ এমন কিছু করবে, যা আগে কখনো করেনি। সাকিব আল হাসানের এমন কথাটা নিশ্চই মনে আছে। কদিন আগে কথা তো আর ভুলে যাওয়ার নয়।
সাকিবের এমন কথায় বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের স্বপ্নটা যেন ক্রমশই বড় হতে থাকে। সাকিব বলেছেন বলেই মানুষ ২০২৩ বিশ্বকাপ ঘিরে বিশাল বড় এক স্বপ্নে বিভোর ব্যাপারটা ঠিক এমন নয়। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স মানুষকে একটু একটু করে আশা জাগিয়েছে। সময় যত ঘনিয়েছে সেটা ততই জোরালো হয়েছে। একটা বিশ্বজয় কিংবা সেমিফাইনালে খেলার মতো একটা স্বপ্নে স্থির হয়েছে। স্বপ্ন আসলে এমন একটা জিনিস যা কখনই স্থির থাকে না।
স্বপ্ন আসলে সময়ের সঙ্গেই বদলে যেতে থাকে। তবে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছিল বলার সুযোগ বোধহয় নেই। হ্যাঁ, অনেকেই ফাইনালে ওঠার কথা ভাবছেন। তবে সেই সব মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। কয়েক বছর ধরে বিশ্বকাপকে নিয়ে যারা স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন তারা শেষ পর্যন্ত হতাশায় ডুবেছেন। ঠিক সমুদ্রের মাঝে পুরো নৌকা ছিদ্র হয়ে ডুবে যাওয়ার মতো। সাকিব নিজেদের সেরা সময় কাটানোর কথা বললেও বাস্তবে সেটার প্রতিফলন ঘটেনি।
যিনি অসম্ভব কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেই সাকিবই নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে বললেন, ‘এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।’ এমন কথা নাকি তিনি অস্বীকার করতে পারবেন না। ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে হোক কিংবা না হোক দিন শেষে প্রত্যাশার পারদ যে সাকিবরা ছুঁতে পারেনি সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। বিশ্বকাপের মতো ওয়ানডেতেও পুরো বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য ধূসর।
যদিও টি-টোয়েন্টিতে ২০২৩ সালটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ঝলমলে। নিজেদের সেরা বছরই কাটিয়েছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টির মতোই সাফল্যের বছর ছিল যুবাদের। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এশিয়া জয়। মেয়েদের জন্য বছরটা তো ক্রিকেটের জাগরণের মতো। ঘরে-বাইরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। অন্যান্যবারের মতো এবারও মাঠের বাইরের বিতর্ক কমানো যায়নি। তাতে করে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বছরটা ভালো-মন্দের মিশেলে। নতুন বছরে পদার্পনের আগে ফিরে দেখা যাকে ২০২৩ সালটা।
মলিন বিশ্বকাপ—
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বছর শেষ করেছিল বাংলাদেশ। পুরনো বছরের শেষটা যত রঙিন ছিল নতুন বছরটা ছিল ততই ধূসর। বিপিএলের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সিরিজ হার। ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম ঘরের মাঠে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ও ইংল্যান্ডে গিয়ে জিতেছে টাইগাররা। তবে মুখ থুবড়ে পড়তে হয় আফগানিস্তানের সঙ্গে। সিরিজ হারতে হয়েছিল ২-১ ব্যবধানে।
এশিয়া কাপে মাত্র দুই জয় পাওয়া বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের হারে দ্বিতীয় সারির দলের কাছে। তবুও অনেকটা স্বপ্ন নিয়েই ভারতের বিমান ধরেছিল বাংলাদেশ। কদিন আগে সিরিজ হারলেও আফগানদের হারানোটা কঠিন ছিল না সাকিবের দলের জন্য। যেমন ভাবা হচ্ছিলো তেমনটাই করেছেন ক্রিকেটাররা। বলতে গেলে হাশমতউল্লাহ শাহিদীর দলকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
এরপরই যেন নিজেদের একেবারে হারিয়ে ফেলেন সাকিবরা। ব্যাটে-বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ভারত, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা কিংবা পাকিস্তান, কারও কাছেই পাত্তা পায়নি সাকিবের দল। একটা সময় এসে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে কিনা এমন শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। যদিও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেই সব জটিল সমীকরণ মেলানো গেছে।

তবুও বিশ্বকাপ নিয়ে বলার মতো কোনো কিছু দেশে নিয়ে ফিরতে পারেনি টাইগারা। ৯ ম্যাচে সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের জয় ছিল কেবল দুটোতে। হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের মতো তুলনামূলক দূর্বল শক্তির দলের বিপক্ষেও। পুরো বছরে ৩২ ওয়ানডে খেলা টাইগারদের ১১ জয় এবং ১৮ হার। বাকি তিনটি ম্যাচে কোনো ফল আসেনি। ২০২৩ অন্য সব সংস্করণের তুলনায় ওয়ানডেতেই সবচেয়ে বেশি মলিন ছিল। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা যেন সেটারই প্রতিচ্ছবি।
তারুণ্যে ঝলমলে টি-টোয়েন্টি—
ওয়ানডেতে বিবর্ণ বাংলাদেশ উজ্জ্বল টি-টোয়েন্টিতে। সাকিবকে নেতৃত্ব দেয়ার পর বিপিএলে আলো কেড়ে নেয়া নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়দের নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি যাত্রা। যাদেরকে আমরা সিনিয়র হিসেবে চিনি কিংবা জানি তাদের মাঝে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের সদস্য কেবল সাকিব। তরুণদের হাত ধরে শুরুটাও হয়েছিল দারুণভাবে। ইংল্যান্ডের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলকে বাংলাদেশ একেবারে হেসেখেলে হোয়াইটওয়াশ করেছে। সিরিজ জয় এসেছে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষেও।
বছরটাও শেষ হয়েছে দারুণভাবেই। নিউজিল্যান্ডের গিয়ে কখনই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে না পারা বাংলাদেশ এবার সেই ইতিহাস বদলে ফেলে। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে কিউইদের হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নেয়। সিরিজ জয়ের সুযোগও ছিল সফরকারীদের সামনে। তবে শেষ ম্যাচে হেরে সেটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে বছরটা শেষ করেছে শান্তর দল। এ বছর ১১ টি-টোয়েন্টি খেলা বাংলাদেশের ৮ জয়ের বিপরীতে হার দুটিতে। বাকি একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে।
সাদা পোশাকে রঙিন বাংলাদেশ—
টেস্টে এখনও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ এক দশকে কয়েকটি বড় দলের বিপক্ষে জয় পেলেও সেটাতে নেই ধারাবাহিকতা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছরে খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ মেলেনি টাইগারদের। মাত্র চার টেস্ট খেলে তিনটিতেই জয় পেয়েছে তারা। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের বছরটা শুরু হয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে দিয়ে। একমাত্র টেস্টে আইরিশদের বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেটে। আয়ারল্যান্ডের পর আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫৪৬ রানের ব্যবধানে।
যদিও শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা এসেছে সিলেটে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ শেষ করে নিজেদের পুরো শক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছিল কিউইরা। তবে শান্তর নেতৃত্বে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসানদের ঘূর্ণিতে দেশের মাটিতে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট জয়ের কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ। সিরিজ জেতার সুযোগ থাকলেও মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে পেরে উঠতে পারেননি শান্তরা। ফলাফল বিবেচনায় নিলে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের জন্য বছরটা রঙিনই।
নারী ক্রিকেট—বাংলাদেশের মনে রাখার বছর
২০১৮ সালে এশিয়া কাপ জেতার পর বাংলাদেশের মেয়েদের পারফরম্যান্স বরাবরই ওঠা-নামা করেছে। এক সিরিজ ভালো তো অন্য সিরিজে বিবর্ণ জ্যোতিরা। এবার অবশ্য সাফল্যে ধরা দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের হাতে। পরিসংখ্যান হয়ত বাংলাদেশকে খুব বেশি উপরের দিকে রাখবে না। তবে একটু একটু করে উন্নতি করা বাংলাদেশ বছরটা বড় দলগুলোর সঙ্গে যেভাবে খেলেছে সেটা মনে রাখতেই হবে। ছেলেদের মতো মেয়েদের ক্রিকেটেও ভারত পরাক্রমশালী এক দল।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বরাবরই ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামে হারমানপ্রীত কৌরের দল। এমন শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয় চাট্টিখানি কথা নয়। তাদের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে ড্রও করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ধারাবাহিকতা ছিল পাকিস্তান সিরিজেও। ঘরের মাঠে ডেকে এনে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে জ্যোতির দল। মাঝে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি জয়, এশিয়া গেমসে আছে ব্রোঞ্জ পদকও।
বছরের শেষটা হয়েছে আরও দারুণভাবে। সাউথ আফ্রিকাকে ঘরের মাঠে হারালেও তাদের মাটিতে বাংলাদেশের জয় ছিল না। সেই গেরো কেটেছে এবারের সফরে। বেনোনিতে প্রথম ম্যাচ জিতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে হারায় সিরিজ জেতা হয়নি তাদের। ওয়ানডের চিত্রটাও প্রায় একই রকম। প্রথম ওয়ানডে জিতলেও শেষ দুইটা হেরে সিরিজ খুইয়েছে জ্যোতির দল। তবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে জয় বড় অর্জনই বটে।
যুবাদের এশিয়া জয়—
২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জিতেছিল আকবর আলীর দল। বিশ্ব মঞ্চে ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেও কখনই জেতা হয়নি যুব এশিয়া কাপ। এবার বাংলাদেশের সমর্থকদের সেই আক্ষেপ ঘুচে দিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশের যুবার। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, যারা কিনা এশিয়া কাপে বরাবরই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখায়।
অথচ তাদেরই হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নেয় টাইগার যুবারা। আশিকুর রহমান শিবলী, আরিফুল ইসলাম, মারুফ মৃধাদের জন্য দুর্দান্ত এক বছরই কেটেছে বলা চলে। এদিকে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এমন সাফল্য নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস জোগাবে ক্রিকেটারদের।
মাঠের বাইরে যতকথা—
বাংলাদেশে মাঠের ক্রিকেট নিয়ে যতটা না বেশি আলোচনা হয় তার চেয়ে বেশি আলোচনা হয় মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ড নিয়ে। কোনো সিরিজ শুরুর আগে বিস্ফোরক মন্তব্যে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যাবে এটা এদেশের ক্রিকেটের নিত্যদিনের রুটিন। ২০২৩ সালেও সেটার কমতি ছিল না। সাকিব ও তামিম ইকবালের সম্পর্ক, ড্রেসিং রুমের পরিবেশ নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়ে বছরের প্রথম বোমাটা ফাঁটিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। সেটা কোনমতে পাস কাটিয়ে যাওয়া গেলেও থেমে থাকেনি মাঠের বাইরের কাণ্ডে আলোচনা।
আফগানিস্তান সিরিজ শুরুর আগে শতভাগ ফিট না থেকেও ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তামিম। যা নিয়ে পরবর্তীত তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। তামিমের ভাষ্যমতে, কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা খুব বেশি কাজে আসেনি তা বোঝা গেছে ম্যাচের আগের দিন রাতে। বোর্ড সভাপতিকে ফোন করে তামিমের নামে বিচার দিয়েছিলেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। যা নিয়ে সাক্ষাৎকারে তামিমকে ধুয়ে দিয়েছিলেন পাপন।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তামিম। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে একদিন বাদেই অবসর ভেঙে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে এশিয়া কাপের আগে এসে তামিম ছেড়ে দেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের দায়িত্ব। সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন ঘটে আরও এক লঙ্কাকাণ্ড। তামিমের ফিটনেস নিয়ে আলোচনা ছিল সবসময়ই।
এর মাঝে বিশ্বকাপে তামিমকে নিচে ব্যাটিং করার প্রস্তাব দিয়ে বসেন বোর্ডের এক কর্তা। এমন প্রস্তাবের পর বিশ্বকাপ থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে তামিমকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন সাকিব। এটা নিয়েও পরবর্তীতে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তবে সাকিবের সাক্ষাৎকার নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি তামিমকে।