‘১০ বছর পর টেস্টে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ছাড়া কেউ থাকবে না’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গোলাপি বলে হবে টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তির ম্যাচ
২২ ঘন্টা আগে
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাপে ভবিষ্যতে ৫-৬টি দেশ টেস্ট খেলতে পারে! বছরখানেক আগে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ। সাউথ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়কের থেকে আরও একটু বাড়িয়ে বলছেন টড গ্রিনবার্গ। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, ১০ বছর পর মাত্র তিনটি দেশ টেস্ট খেলতে পারে।
টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাপে টেস্ট ক্রিকেট হারিয়ে যেতে পারে, এমনটা শোনা যায় প্রায়শই। সবশেষ কয়েক বছরে ক্রমশই বেড়ে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাহিদা। টাকার ঝনঝনানিতে ডুবছেন ক্রিকেটাররাও। সাম্প্রতিক সময়ে টেন্ট্র বোল্ট, ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে রাসেলদের মতো ক্রিকেটাররা নিজের দেশের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন।

আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি, মুজিব উর রহমান, নাভিন উল হকরাও তাদের বোর্ডকে এমন অনুরোধ করেছেন। তাতে করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রতি চাহিদা বেড়েই চলছে ক্রিকেটারদের। যার ফলে বেশিরভাগ দেশই টেস্ট খেলানোর জন্য ক্রিকেটার খুঁজে পাবে না, এমন শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গ্রিনবার্গের ধারণা, ভবিষ্যতে টেস্ট খেলা চালিয়ে যেতে পারে কেবল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারত। এমন কিছু সত্য হলে এক দশকের মাঝে টেস্ট থেকে হারিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড কিংবা সাউথ আফ্রিকার মতো দেশগুলো। এসব বিবেচনায় নিজেদের চাপে দেখছেন তিনি।
নিউজক্রপের সঙ্গে আলাপকালে গ্রিনবার্গ বলেন, ‘আমার বার্তাটা হলো আমরা চাপে আছি। মাঝে মাঝে চাপ খুব ভালো জিনিস কারণ এটা আমাদের সব সুযোগ তুলে দেবে এবং আমরা সেরা হতে পারি কিন্তু বাকি দেশগুলো সত্যিই ধুঁকছে। এবং আমরা আমাদের সঙ্গে খেলতে পারবো না। তাই আমি মনে করিয়ে দিতে চাই ১০ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে কেবল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারত থাকবে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সাউথ আফ্রিকার অ্যানরিক নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, কুইন্টন ডি কক, মার্কো জানসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেনদের। নিউজিল্যান্ডের বোল্টও আছেন চাহিদার তুঙ্গে। যার ফলে একটা সময় গিয়ে টেস্ট খেলানোর জন্য সেরা ক্রিকেটারদের পাবে না। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গ্রিনবার্গ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অন্য দলগুলো আমাদের বিপক্ষে চালিয়ে যাবে। আমি চিন্তিত যে সাউথ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো ১০ বছরের মাঝে টেস্টে তারা তাদের সেরা খেলোয়াড়দের খেলাতে পারবে না। কারণ তারা সবাই বৈশ্বিক লিগে খেলবে। এটা একটা উদ্বেগের বিষয়। আমার মনে হয় না আমি এটা নিয়ে চিন্তিত। আমি বাস্তবিকভাবে চিন্তা করছি।’