ভরসা রাখলে ভালো কিছু দিতে চান রিশাদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার
৫ মার্চ ২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগ স্পিনার নিয়ে হাহাকার অনেকদিন ধরেই। পুরো বিশ্ব জুড়ে লেগ স্পিনাররা রাজত্ব করলেও বাংলাদেশে সেটি খুঁজে পাওয়াই যেন দুরূহ। অবশেষে এই হাহাকারে খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছেন রিশাদ হোসেন। নিউজিল্যান্ডে সুযোগ পেয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। দলকে ভালো কিছু দিতে প্রত্যয়ী তরুণ এই লেগস্পিনারও। তবে সেটির জন্য তার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন রিশাদ।
জুবায়ের হোসেন লিখন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, অলক কাপালি, তানবীর হায়দাররা মাঝে খানিকটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক মানের হতে পারেননি। সবশেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলোচনার মধ্যমণি যেন লিগ স্পিন। বিসিবি কয়েক দফা চেষ্টা করলেও ভালো মানের কাউকে বের করে আনতে পারেননি। সেটির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটও অনেকটা দায়ী।
নিজেদের দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই বাত্য লেগ স্পিনাররা। একটা সময় বিসিবি নিয়মই করে দিয়েছিল লেগ স্পিনারকে খেলাতেই হবে। তাতেও লেগ স্পিনাররা নিয়মিত ম্যাচ পাননি। কয়েক বছর ধরে যাদের নিয়ে বিসিবি কাজ করেছেন চেষ্টা করছেন তাদেরই একজন রিশাদ। দীর্ঘদেহী এই লেগ স্পিনার ঘরোয়াতে আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স করতে না পারলেও তার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল বিসিবি।

যার ফলস্বরূপ নিউজিল্যান্ডে পাঠায় তারা। আগের ম্যাচগুলোতে একেবারে বাজে বোলিং করেননি রিশাদ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডানহাতি এই লেগ স্পিনার ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই। কিউইদের মতো কন্ডিশনে ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত লাইন এবং লেংথে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের বিপাকে ফেলেছেন রিশাদ।
কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম সরিয়ে নিলেন মাহমুদউল্লাহ, 'বি' ক্যাটাগরিতে মুশফিক
১০ মার্চ ২৫
সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর তরুণ এই লেগ স্পিনার। তবে সেটির জন্য তার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন তিনি। রিশাদ বলেন, ‘আমার ওপর ভরসা রাখতেছে মানে আমার ভালো কিছু দেয়ার সুযোগ বাড়তেছে। চেষ্টা করবো, আমার প্রতি ভরসা রাখলেই ভালো কিছু দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
বাংলাদেশে লেগ স্পিনারদের ওপর খুব বেশি ভরসা রাখা হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং অধিনায়ক শান্তর সমর্থন পাচ্ছেন বলে জানান রিশাদ। তরুণ এই স্পিনার পারবেন এমন বিশ্বাসের বীজ তার মনে বুনে দিচ্ছেন কোচ এবং অধিনায়ক।
তাদের সমর্থন নিয়ে রিশাদ বলেন, ‘অবশ্যই, এটার আমার একটা বড় সুযোগ। তো আমি চেষ্টা করবো দেশকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য। মানসিকভাবে তারা (কোচ এবং অধিনায়ক) সাপোর্ট করতেছে যে বিশ্বাস রাখো তুমি পারবা।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে যখন বোলিংয়ে যাই তখন চিন্তা করি যে নিজের যেটা সামর্থ্য এটার বাইরে কিছু না করে নিজের ভেতরে থাকার জন্য।’