‘বছরটা ইংল্যান্ডের জয়ের চেয়ে বেশি বিনোদনের ছিল’
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাটলারকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না: ভন
২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি...., আপনারা আনন্দ পাবেন।’ অ্যাশেজ শুরুর আগে দ্য প্লেয়ারস ট্রিবিউনের এক কলামে এমনটাই লিখেছিলেন বেন স্টোকস। জয়ের পাশাপাশি ভিন্ন ঘরানায় টেস্ট খেলে সমর্থকদের বিনোদন দেয়ার ইচ্ছে ছিল ইংল্যান্ডের। অ্যাশেজ জেতা না হলেও ইংলিশদের খেলা দেখে সমর্থকরা নিশ্চিতভাবেই তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলেছেন। মাইকেল ভনও সেটি মানছেন।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ এবং স্টোকস অধিনায়ক হয়ে আসার পরই বদলে যেতে থাকেন ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলার ধরণ। সাদামাটা টেস্ট থেকে রূপ নেয় ‘বাজবলে’। খানিকটা ওয়ানডে মেজাজে কিংবা ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেটে সমর্থকদের পয়সা উসুল ক্রিকেট উপহার দিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। পুরো বছর জুড়ে টেস্টে বিনোদন নেয়া ইংল্যান্ডের অবশ্য নেই কোনো বড় সিরিজ জয়
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ছাড়া আর কোনো টেস্টে সিরিজ জয় আসেনি তাদের থলিতে। এমনকি ঘরের মাঠে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করতেও ব্যর্থ হয়েছেন স্টোকসরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বসেছিল ইংলিশরা। অবশ্য পরের দুই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা। তবে শেষ ম্যাচে ড্র করায় অ্যাশেজ জেতা হয়নি স্বাগতিকদের।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতলেও শেষ ম্যাচে এক রানের নাটকীয় হারে সিরিজ হাত ছাড়া করে ইংল্যান্ড। সিরিজ জিততে না পারলেও স্টোকস হয়ত খুব বেশি আক্ষেপ করবেন না। স্টোকস আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাই ঘটুক না কেন, আপনারা আনন্দ পাবেন। সেটা করতে পেরেছেন তো বটেই। তবে ওয়ানডে সংস্করণে বছরটা একেবারে ভুলে যেতে চাইবেন স্টোকসরা। ভারত বিশ্বকাপে যেন ছায়া হয়ে ছিলেন তারা।
গোলাপি বলে হবে টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তির ম্যাচ
১১ মার্চ ২৫
ব্যাটে-বলে ছিল না ছন্দ, ক্রিকেটারদের মাঝেও ছিল তেমন জয়ের তাড়না। তাতেই যেন ভুলে যাওয়ার মতো এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন জস বাটলাররা। ইংল্যান্ডের পুুরো বছরের পারফরম্যান্স নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফে কলাম লিখেছেন ভন। যেখানে জানিয়েছেন, এবছর ইংল্যান্ড আনন্দ দিয়েছে, পরের বছর তাদের জিততে হবে।
ভন লিখেছেন, ‘বছরটা ইংল্যান্ডের জয়ের চেয়ে বিনোদনের বেশি ছিল। টেস্ট দলটা দেখার মতো ছিল এবং মনে রাখার মতো একটা অ্যাশেজ উপহার দিয়েছে। কিন্তু বছর শেষে তারা কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। এমনকি বিশ্বকাপটাও ইংল্যান্ডের জন্য ভুলে যাওয়ার মতো ছিল। ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিশেষ কিছু করার সুযোগ আছে। যেখানে তারা ভারতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ এবং বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পাবে। সেই দুটি করতে পারলে ইংল্যান্ড ঠিক পথে ফিরবে।’
বাজবলের সবচেয়ে বড় মন্ত্র ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেট খেলা। ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সম্ভব হলেও ভারতের মতো উপমহাদেশের স্পিনবান্ধব কন্ডিশনে সেটা কঠিন। স্পিনারদের রাজত্ব থাকা উইকেটে চাইলেই প্রতি বলে মেরে খেলা যায় না। নতুন বছর আগে সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন ভন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, টেস্ট দলকে বুঝতে হবে শুধু একটি উপায়েই খেললে হবে না।
ভন লিখেছেন, ‘টেস্ট দলটাকে বুঝতে হবে শুধুমাত্র একটি উপায়ে খেললেই হবে না। টেস্ট দলটা বেশ উজ্জ্বল এবং দেখতেই ইচ্ছে করে। কিন্তু ভারতের স্পিন উইকেটে তারা শুধু একটি মাত্র উপায়ে খেলতে পারে না। কয়েকদিন আগে ওলি পোপ বলেছিল, ‘প্রতি বলেই রান করতে হবে।’ ঠিক আছে, শুভ কামনা। প্রথম টিকে থাকো তার আক্রমণ করো।’