ঘরের মাঠ, তবুও দুশ্চিন্তায় বাভুমা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্মিথ ও ফিলিপসকে পেছনে ফেলে ফেব্রুয়ারির মাসসেরা গিল
১ ঘন্টা আগে
সাউথ আফ্রিকান ব্যাটারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীস বুমরাহরা। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ঘরের মাঠ, কোথাও যেনো ভারতের বোলারদের সামনে পাত্তাই পাচ্ছে না এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলাররা। ফলে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দারুণ অতীত থাকলেও, ভারতীয় বোলারদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
বিশ্বকাপে ভারতের সামনে দাড়াতেই পারেনি সাউথ আফ্রিকা। মোহাম্মদ শামি, জাদেজাদের বোলিং তোপে মাত্র ৮৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। ব্যর্থতার এই গল্প এখানেই শেষ হয়নি মার্করামদের। সদ্যই ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে দলটি। সেখানেও তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দলটির তরুণ বোলার আর্শদীপ সিং, আভেস খানরা।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বল হাতে দাপট দেখিয়েছিল ভারতের এই তরুণ বোলাররা। সেদিন ‘পিংক ডে’তে খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৬ রানে। যা ঘরের মাঠে তাদের সর্বনিম্ন। সামনেই বক্সিং ডে টেস্ট খেলতে নামবে দল দুটো। বাভুমার মতে ঘরের মাঠে খেললেও ভারতের বিশ্বমানের বোলার বিপক্ষে খেলাটা মোটেও সহজ হবে না।
পিএসএলকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে আইপিএলে খেলবেন বশ
৮ মার্চ ২৫
ভারতের বোলারদের নিয়ে দলটির অধিনায়ক বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমরা নিজেদের কন্ডিশনের সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত, তাই সবাই ভাবছে আমরা এখানে নিজেদের তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু আপনাকে এটা মানতে হবে যে ভারতীয় বোলিং খুব শক্তিশালী। তাদের দলে বিশ্বমানের বোলার রয়েছে। তাই তাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলাটাও সহজ হবে না।’
অবশ্য ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দারুণ অতীত রয়েছে সাউথ আফ্রিকার। ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। কিন্তু অতীতের এই সমীকরণও বাভুমাকে স্বস্তি দিচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত ছন্দ। বাভুমার মতে দু দলের বোলারদের ব্যাটাররা কিভাবে সামাল দিবেন, সেটার উপর সিরিজের ফলাফল নির্ভর করছে।
বাভুমা আরো বলেন, ‘আমার মতে, ভারত সাম্প্রতিক সময়ে এত বেশি সাফল্য পেয়েছে, তার মূল কারণ তাদের বোলিং আক্রমণ। আর তাদের এই বোলিং আক্রমণের জন্য ঘরের মাঠে আমরা আলাদা করে এগিয়ে থাকব না, এমনকি আলাদা কোন সুবিধাও পাব না। ফলে লড়াইটা হবে দুই দলের ব্যাটারদের মধ্যে। এই চ্যালেঞ্জটা ব্যাটাররা কিভাবে সামলাচ্ছে, তার উপরে নির্ভর করছে সিরিজের ফলাফল।’