আউটের ধরণে বিরক্ত ফিলিপস

ছবি: এএফপি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
৭ ঘন্টা আগে
শরিফুল ইসলামের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন গ্ল্যান ফিলিপস। আর তাতেই নিউজিল্যান্ডের বড় লিডের আশা শেষ হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে একাই টেনেছেন ফিলিপস।
তার ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংসেই মূলত ৮ রানের লিড পায় কিউইরা। ইনিংস জুড়ে ৯টি চারের মার মেরেছেন ফিলিপস। ফলে বোঝাই যাচ্ছে টিকে থেকে রান করার চেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রান তোলাকেই সহজ মনে করেছিলেন তিনি। সফলও হয়েছেন।

বাংলাদেশের করা ১৭২ রানের জবাবে ১৮০ রানে শেষ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি এসেছে তার ব্যাট থেকেই। প্রথম দিন শেষের সঙ্গী মিচেলের সঙ্গে ৪০ রানের জুটির পর অষ্টম উইকেটে কাইল জেমিসনের সঙ্গে ৫৫ রানের আরেকটি জুটি গড়েন ফিলিপস।
অশ্বিনের চোখে বরুণই ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা
১১ মার্চ ২৫
শেষদিকে ১৫ বলে ১৪ রান করা টিম সাউদিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যোগ করেছেন আরও ২৮ রান। আর তাতেই লিড নিশ্চিত হয়ে যায় কিউইদের। অবশ্য দারুণ খেলতে থাকা ফিলিপস দিন শেষে নিজের আউটের ধরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ফিলিপস যখন স্টান্স নিচ্ছিলেন তখন সাইট স্ক্রিনের পাশ দিয়ে কেউ একজন হেঁটে যাচ্ছিলেন।
আর তাতেই তার দৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে শরিফুলের বলটির দিকে পূর্ণ মনযোগ দিতে পারেননি তিনি। ফিলিপস বলেছেন, 'শেষ মুহূর্তে শরিফুল যখন তার ডেলিভারি শুরু করছিল তখন সাইট স্ক্রিনের পাশ দিয়ে কেউ একজন হেঁটে যাচ্ছিল এবং আমি এটাই বলছি। আমি ছেড়ে দিতে পারতাম কিন্তু এটাও আমার মাথায় ছিল। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল এবং আমি সঠিকভাবে বলটা দেখিনি এবং আমি সরে যেতে পারিনি। আমি কোনোটাই করিনি এবং শেষমেশ বলে খোঁচা দিয়ে ফেলি।'
তৃতীয়দিনের খেলা শেষে ঢাকা টেস্ট এক ইনিংসের ম্যাচে রূপ নিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে যে দল ভালো ব্যাটিং করবে তাদেরই জয়ের পাল্লা ভারি হবে। ফিলিপস মনে করেন ১৮০-১৯০ রানও এখানে অনেক। ফলে এই রান তাড়া করা তাদের জন্য বেশ কঠিন হবে। বাংলাদেশকে ২০০ রানের নিচে আটকানোই লক্ষ্য কিউইদের।
নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ফিলিপস বলেন, 'অবশ্যই প্রথম ইনিংসে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না আমাদের এবং বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি ভালো ক্যাচ নিয়েছে। যেটা আমাদের দ্রুতই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। আমার মনে হয় পিচ যদি আচরণ না বদলায়... আমার মনে হয় পিচ খুব একটা বদলাবে না। কারণ এটা কভারে নিচে থাকবে। পুরো ম্যাচে একইরকম থাকবে। এখানে ১৮০-২০০ রান ভালো সংগ্রহ হবে এবং তাড়া কড়া কঠিন হবে। তবে অসম্ভব না। কিন্তু অবশ্যই এখানে পরিশ্রম করতে হবে এবং আমাদের নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকতে হবে। তাদের ২০০ রানের নিচে রাখতে পারলেই আমরা খুশি থাকব।'