হোপের অনুপ্রেরণা যখন ধোনি
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বরুণ-নোমানকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়ারিক্যান
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের জেতানোর পথে ৮৩ বলে ১০৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক শাই হোপ। এমন ইনিংসের পর ম্যাচসেরাও হয়েছেন ক্যারিবিয়ান এই মারকুটে ব্যাটার।
ইনিংসের ৪৯তম ওভারে স্যাম কারানের চার বলে তিনটি ছক্কা মারেন হোপ। আর তাতেই নিজের সেঞ্চুরি ও দলের জয় দুটোই নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষ করে আসার পেছনে পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরেছেন হোপ। তিনি জানিয়েছেন অনেক দিন আগে ধোনির সঙ্গে আলোচনাই তার মাথায় ছিল এই ম্যাচে।

হোপ বলেন, ‘খুব, খুব বিখ্যাত একজন ব্যক্তি এম এস (মহেন্দ্র সিং) ধোনি। অনেক দিন আগে আমাদের কথা হয়েছিল। সে বলছিল, “তুমি যা ভাবছ, সব সময়ই তার চেয়ে বেশি সময় পাবে।” যত দিন ধরে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি, ওই একটা ব্যাপার আমার সঙ্গে থেকে গেছে।’
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে স্টোকসকে চান না ব্রড
২ ঘন্টা আগে
ভালো শুরু পেলেও তবে ২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারই ফিরে গেলে চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। এরপর কেসি কার্টি ফিরে যান মাত্র ১৬ রান করে। চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার হোপ ও শিমরন হ্যাটমায়ার। দুজনে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। হ্যাটমায়ার ৩২ করে আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ।
শেষদিকে হোপের সঙ্গে আরেকটি দারুণ জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পথ দেখান রোমারিও শেফার্ড। এই দুজনে ৫১ বলে ৮৯ রান যোগ করেন। আর তাতেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হোপকে জানিয়েছেন তারা ৪৯তম ওভারটিকেই আক্রমণের সেরা সুযোগ হিসেবে দেখছিলেন। সেই পরিকল্পনা দারুণভাবে কাজেও লেগেছে।
এ প্রসঙ্গে হো বলেন, ‘মাঠের যে আকৃতি, সঙ্গে বাতাসের প্রভাব—আমি মনে করেছি ওই ওভারটিকেই তাক করা দরকার। আমরা জানতাম, অন্য প্রান্ত থেকে রান করা কঠিন হবে, বিশেষত বাতাসের বিপক্ষে। যা-ই ঘটুক না কেন, আমি শেষের আগের ওভারেই আক্রমণ করতে চেয়েছি, যাতে জয়ের সেরা সুযোগটি পাই।’
ম্যাচ শেষ করে আসার অনুভূতি নিয়ে হোপ বলেন, ‘দ্বিতীয়টির পরই জানতাম, আমরা ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছি। যদি ম্যাচ শেষ করতে ওই ওভারই থাকত, তাহলে আমি পারলে ১ ওভার বাকি রেখেই শেষ করতাম। অন্য কারও ওপর ছেড়ে দিতে চাইতাম না, শেষে গিয়ে শেষ করাই লক্ষ্য ছিল।’