বাংলাদেশের পথ অনুসরণ করতে চায় নিউজিল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বিকল্প আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেমন করবে আগে থেকে বলা মুশকিল’
৪ ঘন্টা আগে
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫০ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে ঢাকায় পা রেখেছে কিউইরা। সিলেটের অচেনা কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারেনি কিউইরা এমনটাই দাবি নিউজিল্যান্ড দলের স্পিনার ইশ সোধির।
এ ছাড়া ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাদা বলের ক্রিকেটেই গত কয়েক মাস ব্যস্ত সময় পার করেছে নিউজিল্যান্ড। এটাও টেস্ট হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এই কিউই স্পিনার। তবে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে তার প্রশংসা করেছেন সোধি। বাংলাদেশের পথ অনুসরণ করেই তারা দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের খোঁজ করবে বলে জানালেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সোধি বলেন, 'অবশ্যই সিলেটে প্রথম টেস্ট হেরে পরাজিত দল নিয়ে আসা কঠিন। কিন্তু টেস্ট যত এগুচ্ছিল আমরা ছন্দ পাচ্ছিলাম। আমি অনেকদিন টেস্ট খেলি না। কাজেই এই কন্ডিশনে কাজটা কঠিন। আমার মনে হয় বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে তারা অনেক জায়গায় আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। তবে এই কন্ডিশনে কীভাবে সফল হতে হয় এর একটি পথও দেখিয়ে দিয়েছে। আশা করছি আমরা পরবর্তী ম্যাচে এটা কাজে লাগাতে পারব।'
অশ্বিনের চোখে বরুণই ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা
১১ মার্চ ২৫
সিলেট টেস্টে তাইজুল ইসলামই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন দুই দলের। বাংলাদেশের এই স্পিনার একাই নিয়েছেন ১০ উইকেট। তবে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। ঢাকা টেস্টের আগে বোলিং গ্রুপ হিসেবে নিজেদের ভুল ত্রুটি সুধরে নিতে চায় নিউজিল্যান্ড। ফলে প্রথম টেস্টের ফলাফল নিয়ে না ভেবে সামনে তাকানোই লক্ষ্য কিউইদের।
নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে সোধি বলেন, 'আশা করছি আমরা একটি বোলিং গ্রুপ হিসেবে একসঙ্গে পারফর্ম ক্রুতে পারবো। স্পিন গ্রুপ বা যাই হোক না কেন আমরা চেষ্টা করব উন্নতি করতে। আমার ধারণা এটা (টেস্ট খেলা) আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে কারণ আমরা লম্বা সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। যখন সবাই একত্রিত হবে আপনাকে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আশা করছি শেষ ম্যাচে আমরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারব। কিন্তু এখন আমাদের পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। শেষ ম্যাচে আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং এটা করতে পারলে শেষ ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা আশাবাদী।'
ঢাকার সঙ্গে সিলেটের পার্থক্যও ভাবাচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে। সিলেটের চেয়ে ঢাকার আদ্রতা বেশি মনে হচ্ছে সোধির। তার ধারণা সিলেটের চেয়ে মিরপুরে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পাবেন। তাই দ্রুত এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের তৈরি করার তাগিদ দিয়েছেন এই কিউই স্পিনার।
সোধি বলেন, 'আমরা সবে এখানে এসেছি। আমার মনে হয় এখানে আদ্রতা অনেক বেশি। বৃষ্টি হবে কিনা এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু মনে হচ্ছে সারফেস আরেকটু নরম থাকবে। ঘাস একটু বেশি থাকতে পারে। আগামী দুদিনে আরও ভালো করে বোঝার চেষ্টা করব। এটা টার্ন করে কি করে না। এখানে আগ্রাসী হবো না রক্ষণাত্মক থাকব এটা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য মুখিয়ে আছি। তার আগে দুদিন খুব ভালো অনুশীলনের সুযোগ থাকছে।'