promotional_ad

শান্তর সেঞ্চুরিতে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||


আরো পড়ুন

বাংলাদেশ ম্যাচে ‘কিছু করে দেখাতে চায়’ পাকিস্তান

১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ম্যাচে ‘কিছু করে দেখাতে চায়’ পাকিস্তান, ফাইল ফটো

শীতের সময় হওয়ায় চারপাশটায় খানিকটা কুয়াশা জমে গেছে। যে কারণে একটু আগে থেকেই জ্বালানো হয়েছে সিলেট স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট। তবুও আম্পায়ার আহসান রাজা ফটোমিটার দিয়ে একটু দেখে নেয়ার চেষ্টা করলেন খেলার জন্য উপযুক্ত আলো আছে কিনা। পরীক্ষা করে ভালো কিছু অবশ্য পাননি তিনি। যার ফলে একটু সময় থাকলেও দিনের খেলা শেষ করে দেন তিনি। সিলেটে আলোকস্বল্পতা দেখা গেলেও আলোর কমতি ছিল না বাংলাদেশের জন্য।


দিনের শুরুটা প্রত্যাশিত না হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে স্বাগতিকরা। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারালেও সেখান থেকে বাংলাদেশকে টেনে তোলেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। হাফ সেঞ্চুরির আগে অহেতুক রান আউটে মুমিনুল ফিরলেও শান্ত ছিলেন অবিচল। প্রথম ইনিংসের ভুলের প্রায়শ্চিত্তই যেন করেছেন এদিন। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি, তাকে সঙ্গ দেয়া মুশফিক অপেক্ষা করছেন হাফ সেঞ্চুরির। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১২ রান। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ২০৭ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামবেন শান্ত ও মুশফিক।


৭ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নতুন বলে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের সামলানো। সেই কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান। তারা দুজনে মিলে খুব বেশি রান যোগ করতে না পারলেও উইকেটে সময় কাটানোর দায়িত্বটা পালন করেছেন ঠিকই। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন এজাজ প্যাটেল। বাঁহাতি এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে নিখুঁত টার্নে ভেতরে ঢোকা বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন জাকির।


বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। প্রথম ইনিংসেরও প্যাটেলের এমন ডেলিভারিতে আউট হয়েছিলেন জাকির। যদিও সেবার বোল্ড হয়েছিলেন তিনি। জাকিরের ফেরার পর জুটি বড় করতে পারেননি শান্ত ও জয়। পরের ওভারে এসে তাদের জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। ডানহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন শান্ত। ফলো থ্রুতে বল আঘাত করে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। এর আগে বলে হাত ছুঁয়ে দেন সাউদি। বল যখন স্টাম্পে আঘাত হানে তখন ক্রিজ থেকে বাইরে ছিলেন জয়।


তাতে করে রান আউটে কাটা পড়তে হয় জয়কে। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানের ইনিংস খেলা জয় ফিরেছেন ৮ রানে। পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হতো শান্ত ও মুমিনুলকে। ঠাণ্ডা মাথায় সেই কাজটাই করেছেন তারা। দেখেশুনে ব্যাটিং করার সঙ্গে রানও তুলেছেন শান্ত ও মুমিনুল। লাঞ্চ থেকে ফিরে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দারুণ ব্যাটিং করা শান্ত। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৯৫ বলে। শান্ত হাফ সেঞ্চুরি করলেও পঞ্চাশ পাওয়া হয়নি মুমিনুলের। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও মিস করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।



promotional_ad

প্যাটেলের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে অন ড্রাইভ করে এক রান নিতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। বল সরাসরি মিড অনে থাকা হেনরি নিকোলসের হাতে গেলেও রানের প্রচেষ্টায় ছিলেন তিনি, দৌড়ে এসেছিলেন মাঝ উইকেটেও। তবে সেখান থেকে রান নেয়ার খুব বেশি সুযোগ ছিল না। সেটা ভেবেই হয়ত সাড়া দেননি শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সাড়া না পেয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে ফেরার চেষ্টা করেন মুমিনুল। তবে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। ফলে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় ৪০ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে।


আরো পড়ুন

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর সমালোচনায় ওয়াসিম জাফর

২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
মুশফিকুর রহিম, ওয়াসিম জাফর ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

মুমিনুল ফেরার পর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে থাকেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে বাজে শটে আউট হলেও এদিন মুশফিক বেশ সাবধানী। যদিও শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের পেসার, স্পিনারদের দারুণভাবে সামলেছেন তারা দুজন। প্রথম ইনিংসে ভালো শুরুর পর আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছিলেন শান্ত। গ্লেন ফিলিপসের ফুলটস ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। এদিন অবশ্য সেই ভুল করেননি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।


শুরু থেকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যার ফল হিসেবে শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বােইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফে পুশ করেই দৌড় দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। নন স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছাতেই হেলমেট খুলে উপরে লাফিয়ে উঠলেন তিনি। নিজের মতো করেই উদযাপন করলেন তিনি। এমনটা তো হবারই কথা। সিলেট টেস্ট জিততে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। সেই কাজটা করতে অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। ১৯২ বলে তুলে নেয়া সেঞ্চুরিতে গড়েছেন রেকর্ড। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।


যেখানে পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। নেতৃত্বের অভিষেকে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সবশেষ ১৪ বছরে সেটিই ছিল টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কের সর্বোচ্চ ইনিংস। এবার সেটিকে পেছনে ফেলে সেঞ্চুরির রেকর্ডে নিজের নাম লেখালেন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরি পাওয়ার ওভারটি শেষ ওভারে হয়ে থেকে তৃতীয় দিনের। আলোকস্বল্পতার কারণে একটু আগেই শেষ হয়েছে এদিনের খেলা। শান্ত ১০৪ এবং মুশফিক অপরাজিত আছেন ৪৩ রানে।


এর আগে সকালে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন কাইল জেমিসন এবং সাউদি। দিনের প্রথম ঘণ্টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন তারা দুজন। এমনকি ৪৪ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডকে লিডও এনে দেন তারা দুজন। তবে বিরতি থেকে ফিরেই প্রথম ওভারে অল আউট হয় সফরকারীরা। দারুণ বোলিংয়ে এক ওভারে ফিরিয়েছেন সাউদি ও জেমিসনের দুজনকেই। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল চারটি এবং মুমিনুল নিয়েছেন তিনটি উইকেট।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:



বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ৩১০/১০ (৮৫.১ ওভার) (জয় ৮৬, জাকির ১২, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ১২, মিরাজ ২০, দিপু ২৪, সোহান ২৯; ফিলিপস ৪/৫৩)


নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৩১৭/১০ (১০১.৫ ওভার) (লাথাম ২১, কনওয়ে ১২, উইলিয়ামসন ১০২, নিকোলস ১৯, মিচেল ৪১, ফিলিপস ৪২, সাউদি ৩৫, জেমিসন ২৩; তাইজুল ৪/৮৯, মুমিনুল ৩/৪)


বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)-  ২১২/৩ (৬৮ ওভার) (জাকির ১৭, জয় ৮, শান্ত ১০৪*, মুমিনুল ৪০, মুশফিক ৪৩*)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball