উইলিয়ামসনদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা

ছবি: বিসিবি

|| ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||
ভারতের সুবিধা নয়, ফাইনালে নিয়ে ভাবছেন উইলিয়ামসন
৬ মার্চ ২৫
উপমহাদেশের কন্ডিশনে এমনিতেই স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে খেলা হলে স্পিনাররা পেয়ে বসবেন এটা অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেটের’ মতো। বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া টেস্টে সেটা আরও বেশি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু??? আগে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল সিলেটের উইকেট। বছর পাঁচেক পর এখানে খেলা হওয়ায় উইকেট সম্পর্কে নিউজিল্যান্ডের মতো ধারণা নেই বাংলাদেশেরও।
নাজমুল হোসেন শান্তম চান্ডিকা হাথুরুসিংহেরা সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন বারংবার। তবুও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা উইকেটে যে স্পিনাররা রাজত্ব করবেন সেটা জানতেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। টেস্টের প্রথম দিন ব্যাটাররা সহায়তা পেলেও দ্বিতীয় দিনে ছিল প্রায় ভিন্ন চিত্র। বাংলাদেশের স্পিনারদের খেলতে খানিকটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছে কিউই ব্যাটারদের। উইকেটের পরিবর্তনটা বুঝতে পারছেন উইলিয়ামসনরা।
সামনের দিনে উইকেট আরও কঠিন এবং স্পিনবান্ধব হবে এটা এখন বলা যেতেই পারে। উইকেট যে এমন আচরণ করবে সেটা আগে থেকেই জানতো নিউজিল্যান্ড। এ প্রসঙ্গে উইলিয়ামসন বলেন, ‘উইকেট কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরাও আসলে এমনটা আশা করছিলাম। ব্যাটে-বলে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সকালে আমাদের কাজ বাকি আছে। তারপর আমরা বল হাতে পাব।’

উইকেটে টার্ন করলে ব্যাটারদের সবসময়ই বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। দ্বিতীয় দিনে বেশ কিছু ডেলিভারিতে বাড়তি টার্ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা। সময় যত বাড়বে ব্যাটারদের জন্য খেলা আরও কঠিন হবে। এমন উইকেটে ছন্দ ব্যাটারদের জন্য ছন্দ পাওয়াটা কঠিন বলে জানান উইলিয়ামসন। চ্যালেঞ্জ থাকলেও তাদের জন্য ভালো কিছু ছিল বলে জানান নিউজিল্যান্ডের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।
‘বরিশালের বেঞ্চ দিয়ে অন্য দলের চেয়ে ভালো দল বানানো যাবে’
৩১ জানুয়ারি ২৫
উইলিয়ামসন বলেন, ‘এটা এমন একটা উইকেট যেখানে ছন্দ পাওয়া বেশ কঠিন। আপনি কিছু ভালো বল অবশ্য পাবেন। আমার মনে হয় সেটি ভালো ছিল। আরও কয়েকটি (জীবন) পেলে ভালো হতো। এখানে সবাই নিজের জায়গা থেকে দলের জন্য লড়াই করতে চাই। এখানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের জন্য ভালো কিছু জিনিসও ছিল। আমরা জানি ব্যাটে-বলে আমাদের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ খেলা সামনের দিকে এগোচ্ছে।’
পুরো দিন জুড়েই বল হাতে বেশ ভালো করেছেন বাংলাদেশের তিন স্পিনার- তাইজুল, নাঈম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ বিকেলে হাত ঘুরাতে এসে উইকেট তুলে নিয়েছেন স্পিনার মুমিনুল হকও। নিয়ন্ত্রিত লাইন লেংথে বোলিং করায় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও বেশি। তাই তো বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রশংসা করতে ভুল করেননি উইলিয়ামসন।
এদিকে উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলতে এলে প্রায়শই স্পিনে ভুগতে হয় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা কিংবা ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোকে। যে কারণে এখানে খেলতে আসলে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হয় তাদের। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে খেলাটা পরবর্তীতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন উইলিয়ামসন। তারকা এই ব্যাটার জানান, এই কন্ডিশনে খেলার জন্য বাংলাদেশের স্পিনাররা তাদের অনেক শিক্ষা দিয়েছেন।
উইলিয়ামসন বলেন, ‘এই কন্ডিশনের সঙ্গে তারা বেশ পরিচিত। তারা সবাই অ্যাকুরেট ছিল। তারা একেকজন একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছিলো। তারা সবাই আজকে দুর্দান্ত ছিল। তারা আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশ্বের এই অংশে খেলার জন্য তারা অনেক কিছু শিখিয়েছে।’