দেশে আমরা জেতার মতো দল: শান্ত

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মুশফিকের বিদায়ে সতীর্থরা যা বললেন
৬ মার্চ ২৫
শক্তি ও সামর্থ্যে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতায় তো কিউই ক্রিকেটারদের টেক্কা দেয়ার সুযোগ নেই স্বাগতিকদের। তবুও ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় নিউজিল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মনে করেন, ব্যাটিং-বোলিং মিলে দেশের মাটিতে তারা জেতার মতো দল।
কদিন আগেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডের মতো টেস্টেও দল হিসেবে দুর্দান্ত তারা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ দুই আসরের ফলাফল অন্তত তেমন কথাই বলছে। সবশেষ চক্রে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থেকে শেষ করলেও প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে নিশ্চিতভাবেই শিরোপা জিততে চাইবে নিউজিল্যান্ড। সাদা পোশাকের লড়াইয়ে উল্টো চিত্র বাংলাদেশের। দুই চক্রের দুটিতেই নয়ে থেকে শেষ করেছে তারা। জয়-পরাজয়ের হিসেবে কিউইদের সঙ্গে টেক্কা দেবার তো সুযোগই নেই। পরিসংখ্যানে তো বাংলাদেশকে নিয়ে নেই বলার মতো কিছুই। এখন পর্যন্ত ১৭ দেখায় ১৩ হারের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটিতে।

নিউজিল্যান্ডকে ভালো দল মানলেও তাদেরকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন শান্ত। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড খুবই ভালো দল। টেস্টে অনেক চ্যালেঞ্জিং ও শক্তিশালী। যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা, স্পিন-শক্তি বা ব্যাটিং চিন্তা করলে আমরা অবশ্যই ভালো দল। পরিকল্পনা কাজে লাগালে এই দলকে হারানো সম্ভব।’
‘বিকল্প আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেমন করবে আগে থেকে বলা মুশকিল’
১৩ ঘন্টা আগে
টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে ১৪ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যেখানে এবছর দুটি এবং পরের বছর শান্তদের খেলতে হবে ১২টি ম্যাচ। আগের দুই চক্রে ভালো করতে না পারলেও এবার দেশের মাটিতে জিততে চায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে ভালো ক্রিকেট খেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় তারা। এমন লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই, সবমিলিয়ে ১৪টা ম্যাচ খেলব আমরা। এই বছর দুইটা, পরবর্তী বছর আরও ১২টা। যে দুই বছরের কথা বললেন অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য টেস্ট ম্যাচগুলো। বিশেষ করে যে খেলাগুলো আমাদের দেশের মাটিতে হবে।’
‘আমার মনে হয় যে এই ম্যাচগুলো আমরা কিভাবে জিততে পারি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং দল হিসেবে এটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। বাইরে গিয়ে আমরা কিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, কিভাবে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি ওই লক্ষ্যটা আমাদের সবার মাঝে আছে।’
ঘরের মাঠে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের বরাবরই ভরসা স্পিনে। সাকিব আল হাসান না থাকলেও কিউইদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসানরা। ব্যাটিংয়ে সাকিব, তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের না থাকা নিশ্চিতভাবেই ভোগাবে বাংলাদেশকে। তবুও মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হকদের নিয়ে সাহস দেখাচ্ছেন শান্ত।
বাঁহাতি এই ব্যাটার মনে করেন, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জেতার মতো দল। শান্ত বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের দেশের মাটিতে যে বোলিং অ্যাটাক এবং ব্যাটার আছে আমরা দেশের মাটিতে জেতার মতো দল। আস্তে আস্তে ওই অভ্যাসটা তৈরি করা দরকার।’